প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী খুব ভালো মতই বুঝতে পারছেন যে, এতদিন যেভাবে নির্বাচন হয়েছে, ২০২৬ এ আর সেভাবে নির্বাচন হবে না। ইতিমধ্যেই এসআইআরের আতঙ্কে তিনি এতটাই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে গিয়েছেন যে, নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া থেকে শুরু করে এসআইআরের বিরুদ্ধে পথে নেমে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দিয়েছে তার দল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে একদিকে যখন এসআইআর আটকানো যাচ্ছে না, ঠিক তখনই আরও একটি খবর পেয়ে তা আটকানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। এখানে গতকাল দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়ে দুটি জরুরী বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছিলেন তিনি। যার মধ্যে তিনি সেই চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে, বেসরকারি আবাসনে ভোটকেন্দ্র তৈরি করা যাবে না। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এতে এত আপত্তি কেন, এবার তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

গতকালই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন, এটা সকলেই জেনে গিয়েছেন। তবে আজ সেই ব্যাপারে বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠির যে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব নেই, তা স্পষ্ট করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী বেসরকারি আবাসনে ভোট কেন্দ্র করা যাবে না বলে আপত্তি জানিয়েছিলেন। তবে তার সেই চিঠি ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া উচিত বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন বেসরকারি আবাসনে ভোটকেন্দ্র করা যাবে না বলে মুখ্যমন্ত্রীর যে আপত্তি এবং তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি, সেই বিষয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ওই চিঠিটা ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হবে। ৩০০ এর বেশি ভোটার যেখানে রয়েছে, সেখানে আবাসনে ভোটকেন্দ্র হবে। আইন আছে, নির্বাচন কমিশন করেছে। নির্বাচন কমিশন করতে বাধ্য। এত ভয় কেন? লোকসভা নির্বাচনে আবাসনে তালা লাগিয়ে রেখেছিলেন। ৪ ঘন্টা লড়াই করে সিআরপিএফ পাঠিয়ে তালা ভেঙে বের করতে হয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছিল বলে বেলেঘাটা, মানিকতলায় আবাসনের নিচে আপনি নোংরার আবর্জনা ফেলে রেখেছিলেন। ভবানীপুর উপনির্বাচনে কোনো আবাসনের লোককে বের হতে দেননি। ভয় পাচ্ছেন না, যে, আপনার এই চুরি, দুর্নীতি, আপনার এই কৌশলগুলো ধরে ফেলেছে নির্বাচন কমিশন।”