প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
ভারতবর্ষ যখন নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে, যখন ভারতের দিকে কেউ চোখ তুলে তাকাতে পারছে না, তখন শত্রু দেশের থেকেও বেশি ভারতের ক্ষতি হলে এই দেশের মধ্যে কিছু মানুষ আছেন, যারা ভীষণ উজ্জীবিত হন। যারা ক্রিকেট খেলায় ভারতবর্ষ হেরে গেলে এবং পাকিস্তান জয়লাভ করলে বাজি ফাটান। স্বাভাবিকভাবেই তারা দেশদ্রোহী ছাড়া আর কিছু নয়। যারা নিজের দেশের পরাজয়ে এত বেশি উল্লসিত হয়, যারা শত্রু দেশকে বেশি ভালোবাসে, তারা দেশের কতটা শত্রু, তা নতুন করে বলতে হবে না। এতদিন সেই সমস্ত দেশদ্রোহীদের সবক শেখানোর মত মানুষের অভাব ছিল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর দেশের মধ্যে থেকে যারা দেশের বিরোধিতা করবে, তাদের উচিত শিক্ষা দিয়েছেন। আর পশ্চিমবঙ্গে যখন এসআইআর চলছে, যখন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা বাংলাদেশিরা সীমান্তে বসে রয়েছেন আবার ওপারে ফিরে যাওয়ার জন্য, ঠিক সেই মুহূর্তেই একটি সভা থেকে পাকিস্তান প্রেমী হয়ে যারা দেশের মধ্যে রয়েছেন, তাদের জন্য কড়া ট্রিটমেন্টের হুশিয়ারি দিলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

বর্তমানে ভারতবর্ষ অত্যন্ত গৌরবের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। সুশাসনের দিক থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিশ্বের অন্যান্য বড় বড় দেশের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে আমাদের গর্বের দেশ ভারতবর্ষ‌। কিন্তু দেশের এই উন্নতি অনেকেই হজম করতে পারছেন না। যারা দেশের ভালো দেখতে পারেন না। যারা ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে কোনো ক্রিকেট ম্যাচ হলে পাকিস্তান জিতলে বেশি আনন্দিত হন, সেই সমস্ত ব্যক্তিরা যে ঘরশত্রু বিভীষণ, সেই ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু এবার সেই ঘরশত্রু বিভীষণদের জব্দ করতে, যারা ভারতে থেকে ভারতের বিরোধিতা করবে এবং পাকিস্তানের আনন্দের শরিক হওয়ার চেষ্টা করবে, তাদের পাকিস্তানেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

এদিন বিজেপির একটি সভায় বক্তব্য রাখেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার। আর সেখানেই দেশদ্রোহীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দেন তিনি। জগন্নাথবাবু বলেন, “এই দেশে যদি থাকতে হয়, ভারতবর্ষের গুণগান করে থাকতে হবে। এই দেশে পাকিস্তানের পতাকা ওড়ানো যাবে না। পাকিস্তান ক্রিকেটে জিতলে বাজি, পটকা ফাটানো যাবে না। আর যারা ফাটাবে, তাদের আমরা পাকিস্তান পাঠিয়ে দেবো। কেউ জঙ্গি কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকলে সে হিন্দু হোক, মুসলমান হোক, তাকে গারদে ঢুকিয়ে রাখবো। এক্ষেত্রে কোন সম্প্রদায়, কোন ধর্ম, কোন বর্ণের লোক, এটা আমাদের দেখার কোনো প্রয়োজন নেই।” আর বিজেপি সাংসদের এই ধরনের সাহসী বক্তব্যকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন রাষ্ট্রবাদী জনসাধারণ। তাদের একটাই কথা, যারা দেশে থেকে দেশের বিরোধিতা করবে, যারা পাকিস্তানের আনন্দে সেলিব্রেশন করবে, তাদের আর যাই হোক, ভারতে থাকতে দেওয়া উচিত নয়। তাই বিজেপি সাংসদ যে মন্তব্য করেছেন, তা প্রত্যেকটি দেশপ্রেমিক জনসাধারণের মন্তব্য বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।