প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একসময় সততার প্রতীক হিসেবে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিনতেন সকলে। তাঁর সাধারণ জীবন যাপন গরিব মধ্যবিত্ত মানুষের নেত্রী হয়ে ওঠা তাকে আজ মুখ্যমন্ত্রী আসনে বসিয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এত আমূল পরিবর্তন হবে এবং তিনি যে তার লড়াই করা সঙ্গীদের এতটা দূরে ঠেলে দেবেন ক্ষমতা পেয়ে, তা অনেকেই ভাবতে পারেননি। তাই আজ সবাই সেই ক্ষমতার দম্ভে মশগুল হয়ে যাওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনের পরিবর্তন চাইছেন। বিরোধীরা অন্তত তেমনটাই দাবি করে। আর গতকাল বনগাঁর সভায় হেলিকপ্টারের লাইসেন্স না থাকার জন্য সেই হেলিকপ্টার করে যেতে না পারার কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে যথেষ্ট দুঃখ হয়েছে, তা তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই ফুটে উঠেছে। তিনি যতই গোটা বিষয়টিকে মেকআপ দেওয়ার চেষ্টা করুন না কেন, তিনি হেলিকপ্টারে না যেতে পারার কারণে তিনি যে অত্যন্ত বেদনাহত, তা খুব ভালো মতোষই বুঝতে পেরেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাই মা মাটি মানুষের নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আমূল পরিবর্তন নিয়ে বীরভূমের সভা থেকে গর্জে উঠলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
বর্তমানে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এসআইআরের আতঙ্কে রীতিমত আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে রয়েছেন। সেই কারণে গতকাল বনগায় একটি সভা করেছেন তিনি। তবে বক্তব্যের একদম শুরুতেই হেলিকপ্টার করে তাকে আসতে দেওয়া হয়নি এবং এর পেছনেও একটা চক্রান্ত রয়েছে বলে বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী চ্যালেঞ্জ করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেলিকপ্টারের টাকা দেননি, লাইসেন্স করেননি। যার ফলে সেই হেলিকপ্টার তাকে দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এত আমূল পরিবর্তন কিভাবে এককালে তিনি সাদামাটা জীবন যাপন করলেও, এখন কেন তাকে হেলিকপ্টার চড়তে হবে এবং হেলিকপ্টার না চাপার কারণে তার কেন এত দুঃখ হবে, তা নিয়ে তাকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বনগাঁর সভার যে সমস্ত বক্তব্য, তার ধরে ধরে উত্তর দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বীরভূমের সভা থেকে তিনি বলেন, “হেলিকপ্টারে আপনি চড়তে পারেননি, ভীষণ কষ্ট। আমরা ১১ এর আগে মমতা ব্যানার্জিকে দেখিনি। আমি তার নিত্যক্ষনের সঙ্গী ছিলাম। অটল বিহারী বাজপেয়ী আপনাকে আশ্রয় দিয়েছিল। তাই আমরা সেদিন আপনাকে দেখেছি। আর আজ আপনার পরিবর্তন দেখছি। একদিন হেলিকপ্টার চড়তে পারেননি, তার জন্য এত দুঃখ, এত কষ্ট, এত বেদনা? আর আপনি বলেন, মা মাটি মানুষ? কেন আপনাকে হেলিকপ্টার চড়তে হবে? আপনি তো আগে হেলিকপ্টার চড়তেন না। মানুষকে তো বলেছিলেন, বদলা নয়, বদল চাই। বলেছিলেন, আমার কোনো পরিবার নেই। বলেছিলেন, আমার কোনো পিছুটান নেই। এখন তো সব উল্টে গিয়েছে।”