প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এসআইআরের আতঙ্ক এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে এবং তার দলের নেতা-নেত্রীদের মধ্যে এতটাই প্রকট হয়েছে যে, তারা কখন কি বলছেন, তা তারা নিজেরাও বুঝতে পারছেন না। গতকাল বনগাঁর সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক মন্তব্য করেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি তিনি এটাও বলেছেন যে, তিনি নাকি ভারত ভ্রমণ করতে বেরোবেন, গোটা ভারত হিলিয়ে দেবেন। কিন্তু যে মুখ্যমন্ত্রী সামান্য এসআইআরের ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকেন, তার বিরুদ্ধে চিৎকার চেঁচামেচি করেন, যিনি সংবিধানকে চ্যালেঞ্জ করেন, তিনি কি করে ভারত হিলিয়ে দেওয়ার মত কথা বলতে পারেন? তা নিয়ে পাল্টা খোঁচা দিচ্ছে বিরোধীরা। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ভারত দখলের হুমকি দিচ্ছেন, তখন ২০২১ এ যিনি নন্দীগ্রামে তার কাছে পরাজিত হয়েছেন, তিনি কি করে ভারত হিলিয়ে দেবেন, এবার সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

গতকাল বনগাঁর সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে নানা কথা বলেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তার মন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চা হয়েছে। অনেকেই বলেছেন, একজন মুখ্যমন্ত্রী কি করে এই ধরনের কথা বলতে পারেন? এটা কি কোনো মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা হতে পারে? তবে ভারত দখল তো অনেক পরের কথা, আগে ২০২৬-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা দখল করুন। আর যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত প্রভাব প্রতিপত্তি থাকা সত্ত্বেও নিজেই নন্দীগ্রামে হেরে যান। তার মুখ থেকে অন্তত এই ভারত দখল করা, ভারত হিলিয়ে দেওয়ার মত মন্তব্য যে শোভা পায় না, তা বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন বনগাঁয় মুখ্যমন্ত্রী যে সমস্ত বক্তব্য রেখেছেন, বীরভূমের সাঁইথিয়া থেকে তার জবাব দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিহত বাঘের থেকে আহত বাঘ অনেক বেশি ভয়ংকর বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তার পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, “বলছেন, গুজরাট নিয়ে নেব। যান না গুজরাটে। কে আপত্তি করেছে? ওখানে ভি সিম্বলে লড়তে হবে। জোড়াফুল নাও পেতে পারেন। গোলাপ ফুলে লড়তে হতে পারে। ঝাড়ু চাইলেও পাবেন না, কেজরীওয়ালের কাছে আছে। যে নিজে জিততে পারে না নন্দীগ্রামে, আমার কাছে হারে ১৯৫৬ ভোটে, সে নাকি ভারত হেলাবে, গুজরাট জিতিয়ে দেবে। সে নাকি আহত বাঘ, ভীষণ খারাপ।”