প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এর আগেও অনেক জায়গাতেই যেখানে তৃণমূল কম ভোট পেয়েছে, সেখানে উন্নয়ন না করার হুমকি দিয়েছেন তাদের নেতারা। অনেক সময় সরকারি প্রকল্পের ভাতার টাকা বন্ধ করে দেওয়ার মত কথাও তৃণমূলের অনেকের কাছ থেকে শোনা গিয়েছে। আর নন্দীগ্রামের একটি পঞ্চায়েতে তৃণমূলের এক সদস্যের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট ঘিরে সম্প্রতি তৈরি হয়েছে বিতর্ক। যেখানে লক্ষীর ভান্ডার বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি। যার ফলে একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে কি করে সরকারি প্রকল্পের টাকা শুধুমাত্র বিরোধীদের ভোট দিলে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিতে পারেন! তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তৃণমূলের সেই নেত্রীর বিরুদ্ধে। আর এবার লক্ষীর ভান্ডার বন্ধের হুমকি আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সম্প্রতি তৃণমূলের নন্দীগ্রামের একটি বুথের পঞ্চায়েতের এক সদস্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। যেখানে বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষীর ভান্ডার বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে তার পোস্ট ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক। কি করে একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে তিনি এই ধরনের কথা বলতে পারেন! ভোটের আগে এই ধরনের ভয় দেখানোর রাজনীতি কেন, তা নিয়ে সোচ্চার হয় বিরোধীরা। তবে এই ব্যাপারে যে বিধানসভা কেন্দ্রের একটি বুথে তৃণমূলের এক সদস্য এই হুমকি দিয়েছেন, সেই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক যখন শুভেন্দু অধিকারী তখন তিনি কি বলেন, তার দিকে সকলের নজর ছিল। অবশেষে গোটা বিষয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যেখানে তৃণমূলের সেই পঞ্চায়েত সদস্যকে রীতিমত ধুয়ে দিলেন তিনি।
এদিন এই ব্যাপারে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “যে বলেছে, ওর বাপের নাম যদি ঠিক থাকে, তাহলে বন্ধ করে দেখাবে। আর আমি শুভেন্দু অধিকারী কি জিনিস, একবার মমতা বুঝিয়েছি, আবার বুঝিয়ে দেব। ওটা ওর বাপের টাকা নাকি? সরকারের টাকা। বন্ধ করে দেখবেন। ওর যদি বাপের নাম ঠিক থাকে, বন্ধ করবেন। আমি বলে দিলাম তো। শুনতে খারাপ লাগলেও বলে গেলাম, চ্যালেঞ্জ করে গেলাম।”