প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রথম দিন থেকেই দাবি করছেন যে, রাজ্যের বিডিও অফিসগুলোতে দুপুর ২ টার পর থেকে আইপ্যাকের লোকেরা পৌঁছে যাচ্ছে। আর সেখানেই আলোচনা করে কিভাবে বিএলওদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এসআইআরে অবৈধ বাংলাদেশিদের নাম রাখতে হবে, তার প্ল্যানিং চলছে। তবে শাসক দল অবশ্য সেই অভিযোগ বারবার অস্বীকার করে এসেছে। কিন্তু আজ সিইও দপ্তরে একাধিক বিষয়ে অভাব, অভিযোগ জানানোর পর কিভাবে অবৈধ বাংলাদেশিদের নাম আইপ্যাকের চাপে পড়ে বিএলওদের তুলতে হচ্ছে, তা তথ্য প্রমাণ সহকারে সামনে আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এই রাজ্যের শাসক দল এসআইআরের ফলে এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে যে, এখন তারা গোটা ব্যবস্থাকে ভন্ডুল করতে সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে। বারবার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিএলওদের ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে বলে এসআইআর স্থগিতের দাবি জানাচ্ছেন। তবে তৃণমূলের এই আতঙ্কের কারণ যে অবৈধ বাংলাদেশিদের নাম বাদ যাওয়া এবং সেই কারণেই যে তারা এত চিৎকার চেঁচামেচি করছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিরোধীরা। আর এসবের মধ্যেই আজ সিইও দপ্তরে গিয়ে আইপ্যাকের লোকেরা কিভাবে বিএলওদের ওপর মিথ্যে তথ্য এসআইআরে রাখার ক্ষেত্রে চাপ প্রয়োগ করছে, সেই নিয়ে অভিযোগ জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন সিইও দপ্তরে অভিযোগ জানানোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা আইপ্যাকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। বিএলওদের দায়ী না করলেও তাদের ওপরে কিভাবে চাপ সৃষ্টি করে অবৈধ বাংলাদেশিদের নাম ভোটার তালিকায় রাখার প্ল্যানিং করছে আইপ্যাক, সেই তথ্য সামনে আনেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “আমরা বিএলওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি না। কিন্তু 26, 27, 28 একটা অংশের বিডিওদের দিয়ে বিএলওদের চাপ দিয়ে তাদের কাছ থেকে ওটিপি নিয়ে আইপ্যাকের লোকেরা মৃত, শিফটিং এবং বাংলাদেশী মুসলিম, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নাম রেখে দিয়েছে। আমরা একটা উদাহরণ সিইও দপ্তরে দিয়েছি, আপনাদেরও দেখাচ্ছি।” আর তারপরেই একটি তথ্য সামনে এনে কিভাবে অবৈধ বাংলাদেশিদের নাম বিএলওদের মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করে রাখার চেষ্টা করছে আইপ্যাক, সেই তথ্য সামনে আনেন শুভেন্দু অধিকারী।