প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সম্প্রতি রাজ্য রাজনীতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে ২০২৬ এর নির্বাচনে লড়াই করতে পারেন বলে মন্তব্য করে রীতিমত শোরগোল ফেলে দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তবে আজ সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দল তাকে যেখানে দাঁড় করাবে এবং যেভাবে কাজে লাগাবে, তিনি সেভাবেই কাজ করবেন বলে মন্তব্য করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই গোটা বিষয় নিয়ে যখন চর্চা চলছে, ঠিক তখনই পাল্টা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দল অন্তঃপ্রাণ বার্তা সামনে আসার পরেই ফের মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি স্পষ্ট করে দিলেন যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর পেছনে একটি বড় কারণ খুঁজে পেয়েছেন তিনি‌। আর তাতেই তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, নন্দীগ্রামে লড়াই করার বাসনা রয়েছে অভিষেকবাবুর। কিন্তু কি সেই কারণ?

ইতিমধ্যেই সুকান্ত মজুমদার নন্দীগ্রামে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাঁড়াতে পারেন বলে যে মন্তব্য করেছেন, আজ তার জবাব দিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। তবে এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে অভিষেকবাবু যাই বলার চেষ্টা করুন না কেন, আবারও নিজের অবস্থানে অনড় থেকে কি কারণে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে থেকে দাঁড়াতে পারেন, তার তথ্য সামনে আনলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। এক্ষেত্রে সুকান্ত মজুমদারের দাবি, কিছুদিন আগে পুলিশের যে ট্রান্সফার অর্ডার বেরিয়েছে, তাতে বেশ কিছু পুলিশ কর্তার ট্রান্সফার হয়েছে তমলুকে। যারা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। আর তা দেখেই তার মনে হয়েছে যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তার ঘনিষ্ঠ পুলিশকর্তাদের সেই জায়গায় পাঠিয়েছেন, কারণ, তিনি যাতে সেখানে জিততে পারেন এবং সেখান থেকে লড়াই করতে পারেন।

এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামে লড়াই করা নিয়ে যে মন্তব্য, তারপরেই সুকান্তবাবুকে সেই ব্যাপারে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই মন্তব্যের পাল্টা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “পুলিশ অফিসারদের ট্রান্সফার অর্ডারে তমলুকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের কিছু মানুষকে ট্রান্সফার করা হয়েছে। সেই জেলাতে, যেখানে নন্দীগ্রাম বিধানসভা আছে। আর তাতেই বোঝা যাচ্ছে যে, তার মনের মধ্যে একটু বাসনা আছে।” অর্থাৎ বিজেপির পক্ষ থেকে যখন প্রতি সময় দাবি করা হয় যে, পুলিশকে কাজে লাগিয়েই প্রত্যেকটি নির্বাচনে বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামে লড়াই করার ইচ্ছে রয়েছে, আর সেই কারণেই তার ঘনিষ্ঠ পুলিশ কর্তাদের সেই জায়গায় ট্রান্সফার করা হয়েছে। আর এই যুক্তি সামনে এনে আরও একবার অভিষেকবাবু মুখে যাই বলুন না কেন, তার যে নন্দীগ্রামে লড়াই করার বাসনা রয়েছে, সেই ব্যাপারে পাল্টা দাবি করলেন দাবি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুকান্ত মজুমদারের এই মন্তব্য, পাল্টা মন্তব্য ঘিরে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।