প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার থাকলে যে একজন শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরি হবে না, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, যারা মেধার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছেন, তাদের অনেকেরও যে চাকরি চলে যাচ্ছে দুর্নীতির কারণে, সেই সম্পর্কে রাজ্যবাসীর মধ্যে আর কোনো দ্বিমত নেই। তাই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রত্যেকটি সভা থেকে দাবি করছেন যে, বেকারদের জীবন যদি সুরক্ষিত রাখতে চান, তাহলে রাজ্যে ২০২৬ সালে পরিবর্তন আনতে হবে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার একজনকেও চাকরি দেবে না। তারা ভাতা, ভর্তুকি দিয়ে মানুষকে পঙ্গু করে রাখার চেষ্টা করছে। আর এসবের মধ্যেই রাজ্যে সম্প্রতি হয়ে গিয়েছে পুলিশ নিয়োগের পরীক্ষা। অনেক শিক্ষিত যুবক, যুবতীরা অনেক আশা নিয়ে সেই পরীক্ষায় বসেছিলেন। এমনিতেই তো রাজ্যে চাকরি নেই। ফলে এই পরীক্ষায় বসে যদি কোনো সফলতা তারা পান, তাহলে বেকারের সংখ্যা কমবে। কিন্তু সেই পরীক্ষার পরেই এবার এমন এক তথ্য সামনে আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, যার ফলে যারা পরীক্ষার্থী, তারা রীতিমত হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

এই রাজ্যের বুকে প্রতিনিয়ত একের পর এক দুর্নীতির ভান্ডা সামনে আনছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এসএসসি দুর্নীতি কত শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের জীবনের যন্ত্রণা বাড়িয়ে দিয়েছে, তা নতুন করে বলতে হবে না। আর এর জন্য যে রাজ্য সরকারের দুর্নীতিই প্রধান ভাবে দায়ী, সেই সম্পর্কেও দ্বিমত নেই কারও মধ্যেই। তাই সকলেই চাইছেন যে, এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে এবার ক্ষমতা থেকে সরানো হোক। তবে এসবের মধ্যেই সম্প্রতি রাজ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে পুলিশ নিয়োগের পরীক্ষা। কিন্তু সেই পরীক্ষায় যারা পরীক্ষার্থী, যারা অনেক আশা নিয়ে পরীক্ষা দিতে বসেছিলেন, এবার তাদের সেই কষ্ট করে পরীক্ষা দেওয়াটাই কি মাটি হয়ে গেল?

এদিন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে একটি পরিবর্তন সংকল্প সভার আয়োজন করা হয়। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুলিশ নিয়োগের পরীক্ষা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “গতকাল পুলিশ নিয়োগের পরীক্ষা হলো। এই পরীক্ষাও অবৈধ। প্রথম কথা, ভোটের আগে চাকরি হবে না। আর দ্বিতীয় কথা, যে ওএমআর দিয়েছে, তাতে কার্বন কপি ছিল না। তাতে সিরিয়াল নম্বর ছিল না। আমি প্রেস করে দেখিয়েছি ওএমআর। কার্বন কপি কেউ পায়নি। কেন কার্বন কপি দেওয়া হয়নি? রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে কার্বন কপি দেওয়া হয়। পাবলিক সার্ভিস কমিশনে কার্বন কপি দেওয়া হয়। যে কোনো রাজ্যে যে কোনো পরীক্ষায় কার্বন কপি দেওয়া হয়। অর্থাৎ আপনি কত লিখলেন, তার প্রমাণ আপনি বাড়িতে নিয়ে আসতে পারবেন। যারা পুলিশের পরীক্ষা দিয়েছিল, তারা যদি আমার বক্তব্য শুনে থাকেন, তাহলে তারাও আমার সঙ্গে একমত হবেন। তাই মমতা ব্যানার্জিকে, তৃণমূলকে তাড়াতে হবে।”