প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
অনেকেই বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার মহিলাদের যে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প দিয়ে সাহায্য করছেন, তাতেই তারা মা-বোনেদের ভোট পেয়ে যাচ্ছে। আর এই লক্ষীর ভান্ডারের সুফল প্রত্যেকটি নির্বাচনেই তৃণমূল তাদের ঘরে তুলছে। সামনেই ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। গতকাল ১৫ বছরের রিপোর্ট কার্ড পেশ করতে গিয়ে বিহারে ভোটের আগে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হলেও ভোটের পরে বুলডোজার চালানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি এখানকার তৃণমূল সরকার বছরে ১২ হাজার টাকা করে লক্ষ্মীর ভান্ডারের মধ্যে দিয়ে মহিলাদের দেয় বলেও দাবি করেছেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রী এই লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে যতই বড়াই করুক না কেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে, এখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে লক্ষীর ভান্ডারে যত টাকা দেওয়া হচ্ছে, তার থেকে এক টাকা হলেও যে বেশি দেওয়া হবে, সেই ঘোষণা করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

গতকাল এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তার সরকারের ১৫ বছরের রিপোর্ট কার্ড পেশ করেন। যেখানে রাজ্যের উন্নয়নের একাধিক তথ্য প্রকাশ করেন তিনি। এমনকি লক্ষীর ভান্ডার নিয়েও বড় দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহারের কথা তুলে ধরে সেখানে ভোটের আগে টাকা দেওয়া হলেও, ভোটের পরে বুলডোজার চালানো হচ্ছে বলে কটাক্ষ করেন পশ্চিমবঙ্গে প্রশাসনিক প্রধান। আর মুখ্যমন্ত্রী যখন লক্ষীর ভান্ডার নিয়ে এত কথা বলছেন, ঠিক তখনই পাল্টা তাকে জবাব দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। আর সেখানেই তিনি বলেন, “সারা ভারতবর্ষে বহু সরকার দেয়। শুরু করেছিলেন মধ্যপ্রদেশে শিবরাজ সিং চৌহান। উনি তার অনুকরণ করছেন। কত টাকা পায় মধ্যপ্রদেশের মেয়েরা ১৮ বছর হয়ে গেলে, আর পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা কত টাকা পায়! মহিলাদের সম্পর্কে যারা এই সমস্ত উক্তি করেন যে, ১২০০ টাকা পাচ্ছে, তাই মহিলাদের ভোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে, সেরকম কিছু হবে না। যে টাকা মুখ্যমন্ত্রী আজ লক্ষ্মীশ্রীর মধ্যে দিয়ে দিচ্ছেন, আমরা অন্নপূর্ণা যোজনায় এর দ্বিগুণ টাকা, এক টাকা বেশি হলেও এর থেকে পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা পাবেন।”