প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অবশেষে এবার বাংলা জয়ে আসরে নেমে পড়লেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এতদিন বিজেপির নেতা কর্মীদের মধ্যে অনেক সংশয় ছিলো। পশ্চিমবঙ্গে যারা নিচু তলায় লড়াই করছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে, তারা সকলেই ভাবছিলেন যে, ওপর তলায় কোনো সেটিং নেই তো? তৃণমূলের সঙ্গে তাদের শীর্ষ নেতাদের কোনো বোঝাপড়া নেই তো? তারা নীচুতলায় লড়াই করছেন, কিন্তু তাদেরকে কেন সেভাবে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না? আদৌ কি বাংলা দখলের ব্যাপারে সিরিয়াস দলের শীর্ষ নেতৃত্ব? তবে বিজেপির যে সমস্ত নেতা কর্মীরা এই সংশয়ের মধ্যে ছিলেন, তাদের সমস্ত সংশয় আজ দূর করে দিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিশেষজ্ঞরা অন্তত তেমনটাই বলছেন।
আজ সকাল থেকেই একটি খবর সামনে আসে যে, দিল্লিতে সংসদ অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই বাংলার যারা বিজেপির সাংসদরা রয়েছেন, তাদের নিয়ে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যেই প্রায় ৪৫ মিনিটের সেই বৈঠক সমাপ্ত হয়েছে। তবে বৈঠকে কি আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে বেশ কিছু খবর সামনে এসেছে। আর এবার যে খবর জানতে পারা গেলো, তাতে পশ্চিমবঙ্গে যারা পরিবর্তন চাইছেন, যারা সংশয়ে ছিলেন যে, বিজেপি আদৌ পরিবর্তন চায় তো? বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আদৌ চাইছেন তো, বাংলা তাদের দখলে আসুক! তাদের সমস্ত সংশয় এই খবর সামনে আসার পর দূর হতে বাধ্য। কি সেই খবর?
সূত্রের খবর, আজ বঙ্গ বিজেপির সমস্ত সাংসদদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মূলত, বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর এই বৈঠক যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তিনি যে বেশ কিছু সাংগঠনিক বার্তা দেবেন দলীয় সাংসদদের, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন সকলে। জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকেই যে কোনো মূল্যেই বাংলা জয় করাই যে এখন প্রধান টার্গেট, সেই সুর বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ সূত্র মারফত পাওয়ার খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গ বিজেপির সাংসদদের উদ্দেশ্যে বলেন, “কঠিন পরিশ্রম করে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটে জয় সুনিশ্চিত করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতে হবে।” আর প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তার ফলেই আরও বেশি করে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, এবার বাংলায় পদ্ম ফোটানোই একমাত্র লক্ষ্য নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় বিজেপির। আর বিজেপির যিনি মুখ বলে পরিচিত, সেই নরেন্দ্র মোদী যখন এই কথা বলে দিয়েছেন, তখন আরও দ্বিগুণ এনার্জি নিয়ে যে বঙ্গ বিজেপির নেতা কর্মীরা ২৬ এর এই লড়াইটা দেবেন, সেই ব্যাপারে দ্বিমত নেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।