প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
অবশেষে তৃণমূলের অন্দরে এতদিন ধরে হুমায়ুন কবীরকে নিয়ে যে নাটকটা চলছিলো, তার পরিসমাপ্তি ঘটলো। কিন্তু নাটকের যবনিকা পতনের দিন যেভাবে তার পরিসমাপ্তি ঘটানো হলো তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করলো। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, এটাই কি একজন সংখ্যালঘু বিধায়কের প্রতি তৃণমূলের সম্মান প্রদর্শন? এরপরেও কি করে সংখ্যালঘুরা তৃণমূলের দিকে সমর্থন করবেন? অনেকে আবার বলছেন, এত অপমান সহ্য করার পরেও কি চুপ করে থাকবেন হুমায়ুন কবীর? যে অপমান তিনি আজকে হলেন, তার প্রতিশোধে কি যে দল তাকে সাসপেন্ড করলো, সেই দলের প্রতি তিনি কোনো রাজনৈতিক বদলা নেবেন না?
প্রায় অনেকদিন ধরেই এই দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে আসছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। সম্প্রতি তিনি বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করার কথা জানিয়ে দেন। যার ফলে তার দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রচন্ড অস্বস্তিতে পড়ে যায়। আজ মুর্শিদাবাদে সভা রয়েছে তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর দলের সেই সভায় আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। কিন্তু তিনি যখন সেই সভায় উপস্থিত হয়ে গিয়েছেন, যখন তিনি মাঠে রয়েছেন, ঠিক তখনই তিনি খবর পেলেন যে, কলকাতা থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে ববি হাকিম হুমায়ুন কবীরকে দল থেকে সাসপেন্ড করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই দলের সভা, সেখানে তিনি আমন্ত্রণ পেয়েছেন, কিন্তু সেখানে যখন তিনি পৌঁছেছেন, তখন এভাবে তাকে সাসপেন্ড করার বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। আর দল যখন তাকে সাসপেন্ড করেছে, তখন সেই খবর শোনার সাথে সাথেই গজগজ করতে করতে সেই সভাস মাঠ ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে এলেন হুমায়ুন কবীর। তবে সকলের মধ্যে একটাই প্রশ্ন যে, এই অপমান কি করে সহ্য করে নেবেন হুমায়ুনবাবু? তাকে ডাকা হলো, অথচ তিনি উপস্থিত হওয়ার পর তাকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হলো, এটা তো তার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত অপমান। তিনি কি এর কোনো জবাব তৃণমূলকে দেবেন না?
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সভাসস্থলে যখন পৌঁছন হুমায়ুন কবীর, তখনই তিনি খবর পান যে, তাকে সাংবাদিক বৈঠক করে ববি হাকিম দল থেকে সাসপেন্ড করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। আর তারপরেই সেই সভাস্থলে না থেকে তিনি বেরিয়ে আসেন। আর বেরোতে বেরোতেই সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে হুমায়ুন বাবু বলেন, “চিঠি পেয়েছিলাম। আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। তাই এসেছিলাম। তবে এর জবাব দেব। জবাব পেয়ে যাবে। কোনো চিন্তা নেই।” অর্থাৎ যে অপমান আজ তাকে করা হয়েছে, যেভাবে তাকে এই কর্মসূচিতে ডেকে এনে তারপর সাসপেন্ড করা হয়েছে, তা যে তিনি মেনে নিতে পারবেন না এবং তিনি যে জবাব দেবেন, তা সেই সভা ছাড়ার মুহূর্তেই জানিয়ে দিলেন হুমায়ুন কবীর। এখন তিনি তৃণমূলকে কি জবাব দেন এবং তাতে তৃণমূল কতটা কুপোকাত হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।