প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বর্তমানে এসআইআর আবহে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বারবার করে দাবি করা হচ্ছে যে, বিজেপি ভোট না পাওয়ার আতঙ্কে এই এসআইআর পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে প্রচুর বৈধ নাগরিকের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে প্রথম দিন থেকেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং তার দল বিজেপি দাবি করছে, পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকায় প্রচুর রোহিঙ্গা এবং অবৈধ মুসলমানদের ঢুকিয়ে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের প্রশাসন। আর এসবের মধ্যেই সোনালী বিবি নামে এক মহিলাকে পুশব্যাক করার ঘটনায় গতকাল সুপ্রিম কোর্ট তাকে ফেরত আনার নির্দেশ দিয়েছে। আর তারপরেই সেই বিষয়টি হাতিয়ার করে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করার চেষ্টা করেন যে, এভাবেই সোনালী বিবির মত মানুষকে পুশব্যাক করিয়ে বিএসএফকে দিয়ে দেশ ছাড়ানোর চক্রান্ত হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী একটা বিষয়কে সামনে এনে যতই বিজেপিকে চাপে রাখার চেষ্টা করুন এবং যতই বোঝানোর চেষ্টা করুন যে, কোনো রোহিঙ্গা এবং অনুপ্রবেশকারী পশ্চিমবঙ্গে নেই, সেটা যে একেবারেই ভুল, তা পাল্টা বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বর্তমানে এসআইআর আবহে সবথেকে বড় ইসু হয়ে দাঁড়িয়েছে, রোহিঙ্গা এবং অনুপ্রবেশকারী। বারবার করে বিজেপি দাবি করছে, পশ্চিমবঙ্গে রোহিঙ্গা এবং অনুপ্রবেশকারীদের ভোটকে কাজে লাগিয়েই তৃণমূল ক্ষমতায় আসে। তাই তারা এসআইআর আটকানোর জন্য সব রকম চেষ্টা করছে। তবে বিজেপি বৈধ নাগরিকদের কিভাবে দেশছাড়া করার চক্রান্ত শুরু করেছে, তা নিয়ে পাল্টা গতকাল মালদহের সভা থেকে সোচ্চার হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোনালী বিবির প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, “ভারতের নাগরিক, তাদের কি করে তুমি বাংলাদেশী তকমা দাও? সোনালী কি বাংলাদেশী ছিলো? সোনালী খান তো ভারতীয় ছিলো। তার ভারতীয় সবকিছু থাকা সত্ত্বেও তুমি একটা প্রেগন্যান্ট মহিলাকে বিএসএফকে দিয়ে পুশব্যাক করিয়ে দিয়েছো। সুপ্রিম কোর্ট অর্ডার দিয়েছে, ওদের ফিরিয়ে আনার জন্য। আমরা কোর্টে কেস করেছি।” আর মুখ্যমন্ত্রী এই কথা বলে যতই বাংলাদেশি এবং অনুপ্রবেশকারীদের কোনো বিষয় পশ্চিমবঙ্গে নেই বলে বোঝানোর চেষ্টা করুন না কেন, একটা উদাহরণ সামনে এনে যে সবগুলোকে একই আওতায় ফেলা যায় না, তা স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন সোনালী বিবিকে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপিকে কটাক্ষ করেন। আর তার পাল্টা দিল্লি থেকে জবাব দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “লক্ষ লক্ষ ঢুকিয়েছে মমতা। সেই ভেজালের মধ্যে একটা, দুটো আসলও পড়ে যেতে পারে। সেটা আইন যা আছে, তাই হবে। আমরা ভারতীয়দের পক্ষে। সে হিন্দু হতে পারে, মুসলিম হতে পারেন। তবে বাংলাদেশী মুসলমান এবং রোহিঙ্গা মুক্ত পশ্চিমবঙ্গ চাই। পশ্চিমবঙ্গ সুরক্ষিত হলে ভারত সুরক্ষিত থাকবে।”