প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে আজ রাজ্য রাজনীতিতে ঘটে গিয়েছে একটি বড় ঘটনা। যেখানে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে হুমায়ুন কবীরকে। আর দল তাকে সাসপেন্ড করার সাথে সাথে তিনিও জানিয়ে দিয়েছেন যে, আগামী ২২ তারিখ তিনি নতুন দল ঘোষণা করবেন। তবে বিভিন্ন সময় দেখা যায় বিরোধী দলের যারা নেতা-নেত্রী, তাদের বিরুদ্ধে এই রাজ্যের বুকে মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে হুমায়ুন কবীর এতদিন তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন, এবার দল তাকে সাসপেন্ড করেছে। তিনি যদি নতুন কোনো দল গঠন করেন, তাহলে কি তার সামনে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক ইঙ্গিত করলেন ভরতপুরের বিধায়ক।

দীর্ঘদিন ধরেই দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করছিলেন হুমায়ুন কবীর। সম্প্রতি তিনি জানিয়ে দেন যে, আগামী ৬ তারিখ তিনি বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করতে চলেছেন। আর তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্য ভোটের আগে শাসক দলের কাছে প্রবল অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আজ যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভায় যোগদানের জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন হুমায়ুন কবীর, সেই সময় তিনি খবর পান যে, তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তড়িঘড়ি সেই জায়গা ছেড়ে নতুন দল গঠনের কথা জানিয়ে দেন তিনি। তবে এখানেই থেমে থাকেননি হুমায়ুনবাবু।‌ তার কি কি ক্ষতি করা হতে পারে, সেই সম্পর্কেও আভাস দিয়েছেন ভরতপুরের বিধায়ক।

এদিন তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পরেই একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শুরু করেন হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, “মমতা ব্যানার্জি আমাকে গ্রেফতার করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারবে না। আর একটা করতে পারে। আমাকে কাউকে দিয়ে খুন করিয়ে দিতে পারে। অধীর চৌধুরী আসল খুনি, মুর্শিদাবাদ জেলায় বসে আছে। ৩০ টা মানুষ খুন করে এসে পাঁচবারের সাংসদ হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। এরা চক্রান্ত করে আমাকে খুন করেও দিতে পারে। আমি খুন হতেও প্রস্তুত আছি।”