প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পরেই একের পর এক বোমা ফাটিয়ে যাচ্ছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। একসময় এই হুমায়ুন কবীর তৃণমূলের সম্পদ ছিলেন। কিন্তু বিধানসভা ভোটের আগে তিনি যখন দলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একের পর এক বোমা ফাটাচ্ছেন, যখন তিনি মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদ শিলান্যাসের কথা জানাচ্ছেন, তখন হিন্দু ভোটের কথা মাথায় রেখে চাপে পড়েই সেই হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে আজ সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করে তৃণমূল নেতৃত্ব। আর তারপরেই আগামী ২২ ডিসেম্বর নতুন দল ঘোষণা করার কথা জানিয়ে দেন হুমায়ুনবাবু। শুধু তাই নয়, এতদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বারবার করে এই পশ্চিমবঙ্গের বুকে যে হিন্দুরা নিরাপদ নয়, যেভাবে ধুলিয়ান, শামসেরগঞ্জে দাঙ্গা হয়েছিল, যেভাবে সেখানে হরগোবিন্দ দাস, চন্দন দাসকে পশু কাটার তলোয়ার দিয়ে খুন করা হয়েছিল, তা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। আর তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পর সেই দাঙ্গার কথা তুলে ধরে হরগোবিন্দ দাস, চন্দন দাসের খুনের ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন হুমায়ুন কবীর।

এই রাজ্যের বুকে হিন্দুরা মোটেই নিরাপদ নয়। বারবার প্রত্যেকটি সভা থেকে সেই কথা তুলে ধরছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যখনই তিনি কোথাও কোনো কর্মসূচি করেন, তখনই হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিয়ে ধুলিয়ান, সামশেরগঞ্জে কিভাবে অত্যাচার হয়েছে, সেই তথ্য তুলে ধরেন। এমনকি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত না থাকা সত্ত্বেও যেভাবে হরগোবিন্দ দাস, চন্দন দাসের মত হিন্দুদের পশু কাটার তলোয়ার দিয়ে খুন করা হয়েছে, সেই কথা তুলে ধরে তৃণমূল ক্ষমতায় আসলে হিন্দুরা সুরক্ষিত থাকবে না বলে দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর আজ তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পর সেই দাঙ্গার কথা তুলে ধরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অস্বস্তি দ্বিগুণভাবে বাড়িয়ে দিলেন হুমায়ুন কবীর।

এদিন তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পরেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নতুন দল গঠনের কথা ঘোষণা করেন হুমায়ুনবাবু। আর তার মাঝেই তিনি বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অন্তর্গত জঙ্গিপুর সাবডিভিশন। ধুলিয়ান, সামশেরগঞ্জ, সেখানে দাঙ্গা হয়েছিল, তার দায় কার? তার সাংসদ খলিলুর রহমান, সেখানকার বিধায়ক আমিরুল ইসলাম, আখরুজ্জামান…. যেদিন দাঙ্গা হয়েছিল, সেদিন মমতা ব্যানার্জির পুলিশ কি করছিলো? হরগোবিন্দ দাস, চন্দন দাস তাদের বাড়ি থেকে বের করে নৃশংসভাবে হত্যার সময় মুখ্যমন্ত্রী কি করছিলো? অর্থাৎ এতদিন এই কথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখে শোনা গিয়েছিল। আর এবার যেভাবে সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিলেন হুমায়ুন কবীর, তাতে সাসপেন্ড করার পর ভরতপুরের বিধায়কের একের পর এক বানে যে তৃণমূল রীতিমত দিশেহারা হয়ে পড়বে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।