প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গে যারা পরিবর্তন চাইছেন, যারা তৃণমূল সরকারের পতন দেখতে চাইছেন, তাদের সকলের একটাই সংশয় যে, দিনের শেষে আবার ২০২১ এর পুনরাবৃত্তি হয়ে যাবে না তো? ২০২১ এ যেমন বিজেপি অনেক আশা করেছিল যে, তারা ক্ষমতায় আসতে চলেছে। কিন্তু অনেক আসনে তাদের জয় নিশ্চিত থাকলেও, গণনায় যেভাবে কারচুপি হয়েছে, তাতে খুব কম ভোটে অনেক আসন হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির বলেই দাবি করেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। আর এখানেই প্রশ্ন যে, বিজেপিকে তো গণনায় এই কারচুপি আটকাতে সেই শক্তিটা দিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর হবে, পশ্চিমবঙ্গে ভুয়ো ভোটার বাদ হবে। কিন্তু দিনের শেষে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দাঁতে দাঁত চেপে একদম গণনা পর্ব পর্যন্ত লড়াই দেওয়ার মত সামর্থ্য রয়েছে তো বিজেপি কর্মীদের? নাকি সেখানেই তারা হার স্বীকার করে নেবে? তাই অনেকেই ২০২১ এর পুনরাবৃত্তির কথা ভেবে রীতিমত আতঙ্কিত। তবে যাদের মনে এই ভাবনা রয়েছে, তা দূর করে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী দিল্লি থেকে ফিরেই যে মন্তব্য করলেন, তাতে বোঝাই যাচ্ছে যে, শুধু বঙ্গ বিজেপি নয়, কেন্দ্রীয় বিজেপিও এবার সব রকম ভাবে তৃণমূলের হিংসাত্মক রাজনীতিকে ব্যর্থ করে যাওয়ার জন্য ফর্মুলা তৈরি করে ফেলেছে।

গতকাল দিনভর দিল্লিতে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তিনি যখন দিল্লিতে যান, তখন যে রাজনৈতিক কৌশল এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরতেই রাজধানীতে যান, সেই সম্পর্কে দ্বিমত নেই বিশেষজ্ঞদের। দিল্লিতে গিয়ে বিজেপির সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। আর তারপরেই গভীর রাতে রাজ্যে ফিরে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের বিদায় সম্পর্কে যে কনফিডেন্ট মনোভাব দেখালেন, যেভাবে জানিয়ে দিলেন যে, এবার আর গণনাতে কোনোরকম চুরি এবং কারচুপি তারা করতে দেবেন না, তাতে বোঝাই যাচ্ছে যে, বঙ্গ বিজেপি সব রকম ভাবেই তৃণমূলের চালাকি এবং কৌশলকে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।

বুধবার রাতে দিল্লি থেকে রাজ্যে ফিরে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমরা সকলেই এবার একে তাড়াবো। ভোটের মাধ্যমেই তাড়াবো। চুরি করে ভোট করতে দেব না। শাহজাহান, শওকত, জাহাঙ্গীরদের দিয়ে ভোট করতে দেব না। গণনায় চুরি করতে দেব না। যেভাবে নন্দীগ্রামে ওনাকে হারিয়েছি, পশ্চিমবঙ্গেও ওনাকে প্রাক্তন করব। এটা একদম কমিটেড। আমাদের ভোর ৬ টা থেকে রাত্রি ২ টো পর্যন্ত কাজ করছি।”