প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
রাত পোহালেই মুর্শিদাবাদের মাটিতে বাবরি মসজিদের শিলান্যাশ করবেন সাসপেন্ডেন্ট তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তৃণমূল এখন বোঝানোর চেষ্টা করছে যে, তারা এই ধরনের নীতিকে সমর্থন করে না। কিন্তু তলায় তলায় যে ভোটের আগে তৃণমূল ব্যালেন্সের রাজনীতি করার জন্যই হুমায়ুন কবীরকে এই ধরনের শাস্তি দিয়েছে এবং তৃণমূলের সঙ্গে হুমায়ুন কবীরের যে যথেষ্ট সমঝোতা রয়েছে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথামতই যে তিনি কাজ করছেন, তাতে দ্বিমত নেই এই রাজ্যের বিরোধী দলের। তবে হুমায়ুনবাবু যতই মুখে বড় বড় কথা বলুন না কেন, এখানে যে কোনো বাবরি মসজিদ হবে না, শিলান্যাসের আগেই তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ। এমনকি বাবরি মসজিদ করতে গেলে বাবার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলেও মন্তব্য করলেন তিনি।
প্রথম থেকেই হুমায়ুন কবীর যে বাবরি মসজিদ শিলান্যাসের কথা বলছেন, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। যে কেউ মসজিদ করতেই পারে। কিন্তু বাবরের নামে কেন সেই মসজিদ হবে, তা নিয়ে সকলের মধ্যেই একটা প্রশ্ন রয়েছে। অনেকেই বলছেন, হুমায়ুন কবীরকে তৃণমূল সাসপেন্ড করেছে ঠিকই। কিন্তু ব্যালেন্সের রাজনীতি করার জন্য এই দুই পক্ষের বোঝা পড়ার ভিত্তিতে তারা একটি স্ক্রিপ্ট বাজারে ছেড়ে দিয়েছে, যাতে সামনে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোট শক্তিশালী না হয়, তার জন্যই তৃণমূলের এই ধরনের নাটক। বাস্তবে হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে তৃণমূলের যথেষ্ট সুসম্পর্ক রয়েছে বলেই দাবি করছেন একাংশ। আর এসবের মধ্যে হুমায়ুন কবীর যতই বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করার চেষ্টা করুন না কেন, পশ্চিমবঙ্গে যে সব কিছুই হবে না, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ। যেখানে হুমায়ুন কবীরের বাবরি মসজিদ শিলান্যাসের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেন তিনি। অর্জুনবাবু বলেন, “হুমায়ুন কোনোদিন বাবরি মসজিদ বানাতে পারবে না। বাবরি মসজিদ বানাতে গেলে বাবার কাছে পাঠিয়ে দেবো আমরা। ভারতবর্ষে হিন্দুরা এখন অত্যন্ত শক্তিশালী। আর এসব কোনো শিলান্যাস হবে না। ভারতবর্ষকে আমরা হিন্দু রাষ্ট্র বানাবোই। ভারতবর্ষ হিন্দুদের দেশ। যে কেউ মসজিদ বানাতে পারে, তাতে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু বাবরি নাম দিয়ে আপনি বানাবেন, তার মানে, আপনি সরাসরি সংবিধানকে অবজ্ঞা করছেন।”