প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে যে হিন্দু জাগরণ ঘটছে, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। যতই বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করা হোক না কেন, আগামীকাল যে মহৎ সন্ধিক্ষণের সাক্ষী থাকতে চলেছে গোটা বাংলা তথা গোটা দেশ, তাতে উজ্জীবিত হিন্দু সনাতনীরা। ইতিমধ্যেই সনাতন সংস্কৃতি সংসদের পক্ষ থেকে ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতাপাঠের সব রকম প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। রাত পোহালেই সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকবে গোটা বাংলা। যেখানে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এই মহৎ কর্ম যজ্ঞে শামিল থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। আর সেই কর্মসূচিতেই এবার উপস্থিত থাকতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল।
ইতিমধ্যেই এই ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সাজোসাজো রব তৈরি হয়েছে ব্রিগেড ময়দানে। দিনভর চলেছে রিহার্সাল। এর আগেও একবার ১ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠ হয়েছিল। কিন্তু এবার সেই পরিসরকে আরও বাড়িয়ে সনাতন সংস্কৃতি সংসদের পক্ষ থেকে যে বড় কর্মযজ্ঞ করা হচ্ছে, তাতে বাংল যে হিন্দু জাগরণের একটা বড় অধ্যায়ের সাক্ষী হতে চলেছে সকলে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিত্ব এবং সমস্ত হিন্দু সনাতন এবং সাধারণ মানুষকে এই কর্মসূচিতে আসার আবেদন জানানো হয়েছে সনাতন সংস্কৃতি সংসদের পক্ষ থেকে। শুধু তাই নয়, এই কর্মসূচিতে বাংলাদেশ থেকেও যে সাধু-সন্তদের একটি দল আসছে, আজ সেই কথা জানিয়ে দিলেন সনাতন সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি কার্তিক মহারাজ।
এদিন ব্রিগেড ময়দানে ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। আর সেখানেই কার্তিক মহারাজ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের গ্রামগঞ্জ থেকে মানুষ যেমন আসবেন, তেমনই ঝাড়খন্ড, বিহার, আসাম সংলগ্ন থেকে সাধু সন্ন্যাসীরা আসবেন। বাংলাদেশ থেকে একটি টিম আসছে। ৫৬ জনের একটি টিম পাসপোর্ট, ভিসা করে আসছে। রাজ্যপাল তো আসছেনই। এছাড়াও আর্মি বিভাগের প্রধানরা আসবেন। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিশিষ্ট ব্যক্তি, আশা করি, তারাও আসবেন।”