প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
ওপার বাংলায় যেভাবে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, যেভাবে নিরীহ হিন্দুদের ওপর প্রতিনিয়ত দমন পীড়ন হচ্ছে, তাতে আতঙ্কিত এপার বাংলার হিন্দুরাও। ওপারে থাকা হিন্দুদের প্রতি সমব্যথী প্রকাশ করে মাঝেমধ্যেই তাদের সুরক্ষার দাবিতে গর্জে উঠেছে এবারের হিন্দুরা। এই রাজ্যের বুকে যখন কালী ঠাকুরকে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যাওয়া হয়, যখন মহেশতলায় তুলসী মঞ্চ উপড়ে ফেলা হয়, তখন পশ্চিমবঙ্গেও কি পশ্চিম বাংলাদেশ তৈরি করার একটা চক্রান্ত চলছে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন জাগে। বিজেপি নেতারা ২৬ এ পরিবর্তনের ডাক দিচ্ছেন। তাদের প্রত্যেকের বক্তব্য, ২৬ এ যদি তৃণমূলকে সরানো না যায়, তাহলে বাংলায় হিন্দু সমাজ বিপন্ন হয়ে যাবে আর এই পরিস্থিতিতে আজ এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে রয়েছে গোটা বাংলা যেখানে ব্রিগেডে প্রায় পাঁচ লক্ষ কন্ঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে গীতা পাঠ। আর সেখানেই উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশে যেভাবে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চলছে, তা যাতে এখানে না হয়, তার জন্যই সাধু-সন্তদের এই গীতা পাঠে তারা এসে উপস্থিত হয়েছেন বলে মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
বেশ কিছুদিন ধরেই ব্রিগেডে ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। আজ সকাল থেকেই খোল, কীর্তন, হরিবোল ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড। সংখ্যাটা ৫ লক্ষ বলা হলেও, তা ছাড়িয়ে যাবে বলেই মনে করছেন উদ্যোক্তারা। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এই বৃহৎ কর্মসূচিতে আসবার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কারণ গীতা আত্মার কথা বলে। গীতা কোনো একটি ধর্মের নয়, গীতা সমস্ত মানুষের হৃদয়ের। তাই ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে হিন্দুদের জাগরণ নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।
এদিন ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। যেখানে তিনি বলেন, “পশ্চিমবাংলা বিভাজনের শিকার হয়েছে, হিন্দু মুসলমানের নেতৃত্বে। হিন্দু সমাজ সংগঠিত ছিল না। তাই বিভাজনের বলি হয়েছি আমরা। বাংলাদেশে আমাদের ভাইয়েরা অত্যাচারিত হচ্ছে। মঠ, মন্দির ধ্বংস করে মা-বোনেদের ইজ্জত নষ্ট হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের সেই ঘটনা যেন না ঘটে, সেই জন্য হিন্দু জাগরণের দায়িত্ব নিয়েছেন সন্তরা। তারা আমাদের আদেশ করেছেন যে, আসুন, লক্ষ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠ করে আমরা হিন্দুকে সংগঠিত করি, যাতে দ্বিতীয়বার আমাদের আর বিভাজিত হতে না হয়। হিন্দু রাষ্ট্র ভারতবর্ষে মাথা উঁচু করে বাঁচবে। সেই জন্য গীতা পাঠের প্রয়োজন।”