প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গে দুই একজন রাজনীতিবিদ আছেন, যারা প্রতিমুহূর্তে হুমকি, হুঁশিয়ারি দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চান। শুধুমাত্র শাসক দলে রয়েছেন বলে আর পুলিশ প্রোটেকশন নিয়ে রয়েছেন বলে যা খুশি তাই বলে যান তারা। কিন্তু মানুষের ক্ষোভ কতটা এদের বিরুদ্ধে রয়েছে, তা সঠিকভাবে ভোট হলেই প্রমাণ হয়ে যাবে বলেই দাবি করে বিরোধীরা। মাঝেমধ্যেই বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বেলাগাম মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী। আর এবার তিনি যে মন্তব্য করলেন, তার ফলে প্রশ্ন উঠছে যে, একটি গণতান্ত্রিক রাজ্যে কি এই ধরনের হুমকি দেওয়া যায়? একজন বিরোধী দলনেতা, যিনি একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী সমতুল্য, তাকে উদ্দেশ্য করে কি করে এত বড় কথা বললেন মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি?

বর্তমানে ২০২৬ এর নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই রাজনীতির পারদ ক্রমশ চড়তে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গে। শাসক থেকে শুরু করে বিরোধী, একে অপরকে উদ্দেশ্য করে আক্রমণ, প্রতি আক্রমণ করছেন। তবে শাসক দলের বেশ কিছু নেতা রয়েছেন, যারা প্রতিমুহূর্তে শালীনতার মাত্রা অতিক্রম করে যান। বিরোধী নেতাদের উদ্দেশ্যে সৌজন্য দেখানো তো দূরের কথা, রীতিমত বেলাগাম মন্তব্য করে বসেন তারা। যার মধ্যে অন্যতম মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী। এবার শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে মন্তব্য করতে গিয়ে রাজনৈতিক আক্রমণের উর্ধ্বে উঠে এমন কিছু কথা বলে ফেললেন এই তৃণমূল বিধায়ক, যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

এদিন একটি সভা থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষ করেন মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী। আর সেখানেই তিনি বলেন, “আমাদের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বদলা নয়, বদল চাই আমরা। তাই তুমি আজকে এই ধরনের খারাপ খারাপ কথা বলে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ দিয়ে মালদহের বুকে হাঁটছো। যেদিন মালদার মানুষ জেগে উঠবে, যেদিন মালদার মানুষ শপথ নেবে, যেদিন মালদার মানুষ হাতে লাঠি নিয়ে দাঁড়াবে সেদিন মালদহের বুকে তুমি পা রাখতে পারবে না। বিরোধী দলনেতা, তোমাকে চ্যালেঞ্জ করে বলছি।” আর এখানেই বিরোধীদের প্রশ্ন, একজন শাসক দলের বিধায়ক হয়ে এত বড় হুমকি কি করে দিতে পারেন আব্দুর রহিম বক্সী? শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ক্যাবিনেট মন্ত্রী সমতুল্য পদ। তাহলে মালদহে এলে তার নিরাপত্তায় যদি কোথাও কোনো গাফিলতি থাকে, তাহলে তার দায় নিতে হবে এই তৃণমূল নেতাকেই। আর একজন শাসক দলের বিধায়ক হয়ে যেভাবে সরাসরি বিরোধী দলনেতাকে হুমকি দিলেন আব্দুর রহিম বক্সী, তাতে তার বিরুদ্ধে অবিলম্বে পুলিশের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।