প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজনীতির জন্য লোক দেখানো হিন্দুত্ব অনেকেই করতে পারে। অনেকেই হিন্দুদের ভোট পাওয়ার জন্য নানা ধর্মাচরণ দেখাতে পারেন। কিন্তু যে ধর্মে যে ব্যক্তি দীক্ষিত, তার সেই ধর্মের প্রতি নিষ্ঠাবোধ দেখলেই বোঝা যায় যে, তিনি কতটা নিজের ধর্মের প্রতি নিষ্ঠাবান। আজ ব্রিগেডে ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছিল‌। এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে এখন নব্য হিন্দু বলে মাঝেমধ্যেই কটাক্ষ করে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সমালোচকদের মুখের রীতিমত ঝামা ঘষা পড়লো আজ শুভেন্দু অধিকারীর একটি ছবি সামনে আসার পরেই। কি সেই ছবি?

আজ ব্রিগেডে ৫ লক্ষ গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে বিজেপির অনেক নেতৃত্বরাও উপস্থিত হয়েছিলেন। উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। গীতা শুধু একটি গ্রন্থ নয়, গীতা আত্মার কথা বলে। দেহ, মন শুদ্ধিকরণের কথা বলে। আর সেই ব্রিগেডে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রকৃত হিন্দু সনাতনীর পরিচয় দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার জন্য একটি চেয়ারের ব্যবস্থা ছিলো। কিন্তু সেরকম কোথাও না বসে গীতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সুরে সুর মিলিয়ে ধৈর্য ধরে মাটিতে বসেই গীতা পাঠ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু মুখেই সনাতনীদের রক্ষা করার বার্তা নয়। একজন হিন্দু পরিবারের সন্তান হিসেবে তিনি যে মন থেকেই হিন্দু ধর্মকে শ্রদ্ধা করেন, সম্মান করেন, তার আরও একবার পরিচয় দিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ভোটের জন্য যে তিনি হিন্দু হিন্দু করেন না, হিন্দু সংস্কৃতির সঙ্গে তিনি যে একাত্ম রয়েছেন এবং নিজের সংস্কৃতিকে বাঁচানোর জন্য ধৈর্য ধরে একদম প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এই গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে মাটিতে বসেই গীতা পাঠ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এখন অনেকেআ বলতে পারেন, এ আর এমন কি? কিন্তু যারা এই সমস্ত প্রশ্ন করছেন, তাদের বোঝা উচিত যে, যদি কেউ নাটক করে এই সমস্ত কিছু করেন, তাহলে সেটা কিছু সময়ের জন্য করতে পারেন। কিন্তু টানা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো গীতা পাঠের মত পবিত্র কর্মসূচিতে মাটিতে বসে যেভাবে মনোযোগ সহকারে শুভেন্দুবাবু গীতা পাঠ করলেন, তা সত্যিই হিন্দু সনাতনীদের কাছে যথেষ্ট উজ্জীবিত হওয়ার মত কারণ। পাশাপাশি শুধুমাত্র রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নয়, শুভেন্দু অধিকারী যে হিন্দু সনাতনীদের বাঁচানোর জন্যই একজন সেবক হিসেবে ২৬ এর আগে এই লড়াইটা করছেন, সেই বিষয়ে আরও একটা বড় প্রমাণ পাওয়া গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।