প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিধানসভা নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূল নেতাদের অস্থিরতা বাড়ছে। এমনিতেই এসআইআরের চাপে তারা এবার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে কিনা, সেটা নিয়েই একটা বড় প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়েছে। তার মধ্যেই প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যখন বিরোধীরা রাস্তায় নেমেছে তখন তৃণমূল নেতারা বুঝতে পারছেন যে এবার হয়তো তারা আর ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন না আর সেই কারণেই কি যা খুশি তাই বলতে শুরু করেছেন রাজ্যের শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা? প্রায় প্রতিনিয়তই বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি। এবার বিরোধীদের মাথার খুলি ভেঙ্গে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে ফের বিতর্কে পড়ে গেলেন তিনি।

হাতে আর দুটি মাস। তারপরেই বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে যাবে। তবে নির্বাচনের আগে যে সমস্ত তৃণমূল নেতারা এইভাবে হুমকি, হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, নির্বাচনের সময় তারা জিততে যে তা প্রয়োগ করবেন, সেই সম্পর্কে নিশ্চিত বিরোধীরা। তাই বাংলার নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকে আলাদা নিয়ম চালু করতে হবে এবং কড়া ট্রিটমেন্ট প্রয়োগ করতে হবে বলেই দাবি করা হচ্ছে বিরোধীদের তরফে। আর এসবের মধ্যেই বিরোধীদের মাথার খুলি ভেঙ্গে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি।

এদিন মালদহ জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে সংহতি দিবসের আয়োজন করা হয়। আর সেই মঞ্চেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে করা ভাষায় আক্রমণ করেন মালতিপুরের তৃণমূল বিধায়ক। শুধু তাই নয়, যারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করবে, তাদের মাথার খুলি ভেঙ্গে দেওয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, “রাতের অন্ধকারে গোপন আস্তানায় মিটিং করে ঠিক করছো, মালদার বুক থেকে তৃণমূলকে মুছে দেবে? যে মাথার খুলির ভেতরে এই ধরনের চিন্তা ভাবনা হয়, সেই মাথার খুলি ভেঙে চুরমার করে দেবে মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি।” আর এখানেই বিরোধীদের দাবি, এ তো ভয়ংকর হুমকি। বিরোধীরা রাজনীতি করবে, তারা শাসক দলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে, এটা তো স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু যেভাবে তৃণমূলের বিধায়ক, তৃণমূলের জেলা সভাপতি এই ধরনের হুমকি দিলেন, তাতে তো অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। নির্বাচনের সময় যদি এই সমস্ত ব্যক্তিরা বাইরে থাকেন, তাহলে তারা কি ধরনের অত্যাচার চালাবেন, বিরোধী শক্তিকে দমন করতে কি ধরনের হুমকি দেবেন, তা তো স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই অবিলম্বে এই সমস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।