প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সকলেই বলেন ভারতবর্ষ সর্বধর্ম সমন্বয়ের দেশ। অত্যন্ত ভালো কথা। সমস্ত মানুষ সমস্ত আচার আচরণ পালন করবেন। যে যার ধর্মের মত করে নিয়ম পালন করবেন, এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয়। ভারতবর্ষ অত্যন্ত সহনশীল দেশ। কিন্তু সেই দেশের যারা শত্রু, তাদের নামে ভারতবর্ষে কোনো স্থাপত্য হবে, আর ভারতবর্ষের মানুষ তা মেনে নেবেন কি করে? দেশের মাটিতে থেকে, দেশের খেয়ে কিছু মানুষ যখন দেশবিরোধী কার্যকলাপ করে, তখন নিঃসন্দেহে তাদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ওঠে। আর যে বাংলা বারবার ভারতকে পথ দেখিয়েছে, সেই বাংলায় যদি সেই ধরনের ঘটনা ঘটে, তাহলে তো আরও চিন্তাজনক হয়ে দাঁড়ায় তা গোটা দেশের কাছে। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস হয়েছে। যিনি করেছেন, তিনি আবার তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন। যদিও বা এখন তৃণমূল তাকে সাসপেন্ড করেছে। কিন্তু সেটা কতটা বাস্তব এবং কতটা লোক দেখানো, তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে জনমানসে। আর এসবের মধ্যেই এবার স্পষ্ট ভাষায় বাবরের নামে মসজিদ যে কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না, তা জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
ইতিমধ্যেই এই বাংলার বুকে বাবরের নামে মসজিদ করার পর থেকেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। যে বাবর ভারতবর্ষের আক্রমণকারী ছিলো, যে বাবর ভারতবর্ষের ক্ষতি করেছে, তার নামে কেন মসজিদ হবে, তা নিয়ে বারবার করে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতারা। এমনকি সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই প্রশ্ন রয়েছে। তৃণমূল এখন হয়ত তাকে লোক দেখানো সাসপেন্ড করেছে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে যে এর পেছনে তৃণমূলের কোনো সমর্থন নেই, সেই গ্যারান্টি কে দেবে, তা নিয়েও অনেক বিজেপি নেতা প্রশ্ন তুলছেন। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদারের মত বিজেপি নেতারা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, বাবরের নামে মসজিদ কোনোভাবেই ভারতবর্ষের মাটিতে মেনে নেওয়া হবে না। আর এবার নিজের নামে মসজিদ করলেও ভালো। কিন্তু বাবরের নামে মসজিদ করলে যে মানা হবে না, তা জানিয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আর সেখানেই বাবরি মসজিদের শিলান্যাস নিয়ে আরও একবার আপত্তি জানান তিনি। সুকান্তবাবু বলেন, “কে কার দলে যাবে, কে কার সঙ্গে জোট করবে, সেই ব্যাপারে আমাদের কোনো আগ্রহ নেই। কিন্তু মূল বিষয় হচ্ছে, বাবরের নামে বাংলার মানুষ মসজিদ মেনে নেবে না। মসজিদ নিজের নামে বানাও, নিজের বাবার নামে বানাও, অসুবিধে নেই। কোনো ইসলামিক মহাপুরুষের নামে রাখো। এপিজে আব্দুল কালামের নামে তো হতে পারে মসজিদ। সেটা তো বানানোর চেষ্টা করো না তোমরা।”