প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকাল এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণের মুখোমুখি হয়েছিল গোটা দেশ। প্রায় ৫ লক্ষ কন্ঠে আয়োজিত হয়েছিল সনাতন সংস্কৃতি সংসদের পক্ষ থেকে ব্রিগেড ময়দানে গীতা পাঠের। যেখানে প্রচুর মানুষ সামিল হয়েছিলেন। উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান তথা রাজ্যপালও। তবে যেদিন এই কর্মসূচি হয়েছে, ঠিক তার আগের দিনই মুর্শিদাবাদে বিতর্কিত বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন হুমায়ুন কবীর। যেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তাকে হোম অ্যারেস্ট করার পরামর্শ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। অর্থাৎ গোটা বিষয়টিকে তিনিও যে খুব একটা ভালোমতো মেনে নিতে পারেননি, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আর এবার ব্রিগেডে গীতা পাঠের মঞ্চ থেকেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে ঘুরিয়ে কি সেই বাবরি মসজিদের শিলান্যাস নিয়েই গর্জে উঠলেন সিভি আনন্দ বোস?
গত ৬ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদের বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন হুমায়ুন কবীর। তৃণমূল তাকে সাসপেন্ড করলেও এর পেছনে শাসক দলের গোপন এজেন্ডা নেই তো? এটা তাদের নাটক নয় তো? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। যেখানে বাবর ভারতবর্ষের আক্রমণকারী ছিলো, সেখানে মসজিদ তৈরি করা হলেও কেন তার নামেই করতে হবে, তা নিয়ে হিন্দু সনাতনীদের মধ্যেও প্রশ্ন রয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে গতকাল ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে প্রত্যেক সাধু সন্তরা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, বাংলার হিন্দুদের জেগে উঠতে হবে, তা না হলে সামনে সমূহ বিপদ। আর ব্রিগেডের সেই মঞ্চ থেকেই গীতা পাঠের অনুষ্ঠান শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুর্শিদাবাদের ঘটনার কথা তুলে ধরে গীতার বাণী উচ্চারণ করলেন রাজ্যপাল।
গতকাল ব্রিগেডে ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন রাজ্যপাল। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “গীতায় বলা আছে, আত্মা হলো আসল। আমাদের ভগবানের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে। গতকাল মুর্শিদাবাদে কি হয়েছে, তা আপনারা দেখেছেন। কিন্তু গীতায় উল্লেখ রয়েছে, সৎ লোকেদের রক্ষা করবার জন্য, দুষ্টু লোকেদের বিনাশ করবার জন্য এবং ধর্মের পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে আমি যুগে যুগে অবতীর্ণ হই।” অর্থাৎ রাজ্যপাল যে মুর্শিদাবাদের এই বাবরি মসজিদের শিলান্যাসকে মোটেই ভালো চোখে নিতে পারেননি, এমনকি এই অশুভ শক্তির বিনাশের জন্য যে শুভশক্তির উদয় হবে, তা গীতার শ্লোক উচ্চারণের মধ্যে দিয়েই বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।