প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকাল এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণের মুখোমুখি হয়েছিল গোটা দেশ। প্রায় ৫ লক্ষ কণ্ঠে ব্রিগেডে গীতা পাঠ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি শেষ পর্যন্ত সেখানে উপস্থিত হননি। তবে এই ব্যাপারে আজ সংবাদমাধ্যমে প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী যে কথা বলে দিলেন, তা নিয়ে আবার নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, একজন মুখ্যমন্ত্রী কি করে হিন্দু ধর্মের মত শাশ্বত ধর্ম, যেখানে কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো পতাকা থেকে শুরু করে ব্যানার পর্যন্ত নেই, সেখানে কি করে তিনি এর পেছনেও বিজেপির রয়েছে বলে দাবি করতে পারেন? এটা তো সরাসরি হিন্দু ধর্মকে চরম অপমান করা বলেই দাবি করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই ব্রিগেডে যে পাঁচ লক্ষ গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছিল, সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে নানা মন্তব্য করতে শুরু করেছেন বিজেপি নেতারা। সকলের একটাই প্রশ্ন, কেন মুখ্যমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে গেলেন না? তিনি ঈদের নামাজে গেলে কেন এত বড় হিন্দু ধর্মের পবিত্র অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেল না? যেখানে তাকে উদ্যোক্তারা নিজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, সেখানে নিজে হিন্দু ধর্মের মানুষ হয়েও কেন এই অনুষ্ঠানকে এড়িয়ে গেলেন তিনি? তবে এবার সেই বিষয়েই গোটা অনুষ্ঠানকে বিজেপির অনুষ্ঠান বলে দাবি করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

এদিন উত্তরবঙ্গে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই ব্রিগেডে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে তার অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি বিজেপির অনুষ্ঠানে কি করে যাবো? আমি তো একটা পার্টি করি। আমার তো একটা মতাদর্শ আছে। আপনারা আমাকে বলুন, এটা যদি নিরপেক্ষ অনুষ্ঠান হতো, আমি নিশ্চয়ই যেতাম। কিন্তু আমি বিজেপির অনুষ্ঠানে কি করে যাব? আমি সব বর্ণ, সব জাতিকে সম্মান করি। কিন্তু যেখানে সরাসরি বিজেপি যুক্ত, সেখানে আমি যাব কি করে বলুন তো! বাংলাকে যারা অপমান, অসম্মান করে, যারা বাংলা বিরোধী, তাদের সঙ্গে আমি নেই।”