প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
গতকাল প্রায় ৫ লক্ষ কন্ঠে ঐতিহাসিক গীতা পাঠ হয়েছে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেখানে উপস্থিত হননি। যার ফলে বিজেপি নেতারা কটাক্ষ করতে শুরু করেছিলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী এই সমস্ত অনুষ্ঠানে কেন উপস্থিত থাকবেন? তিনি একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করে যাতে ভোট পাওয়া যায়, সেই রকম কর্মসূচিতে থাকবেন। কিন্তু হিন্দু ধর্মের, সনাতনীদের কর্মসূচিতে তাকে দেখতে পাওয়া যায় না। এমনকি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন যে, তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে হিন্দু বলে মনে করেন না। আর আজ সেই ব্রিগেড ময়দানে ৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানকে বিজেপির কর্মসূচি বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে আরও নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার মুখ্যমন্ত্রী সেই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

সকলের মধ্যেই যে একটা কৌতুহল ছিল যে, মুখ্যমন্ত্রী আমন্ত্রণ পাওয়ার পরেও কেন গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে গেলেন না? যেখানে কোনো রাজনৈতিক রঙ ছিল না, যেখানে একটি সংস্থার পক্ষ থেকে এত বড় আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে বহু সাধু সন্তরা উপস্থিত হয়েছিলেন, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী সব ধর্ম তার কাছে আপন বলার পরেও, কেন হিন্দু সনাতনীদের এত বড় কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকলেন না? তিনি যদি সেখানে যেতেন, তাহলে তো তিনি আরও বেশি করে সকলের আপন হয়ে যেতেন। তাহলে এত বড় সুযোগ কেন তিনি হাতছাড়া করে দিলেন? আজ সেই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করতেই তিনি দাবি করেন যে, আমি বিজেপি পার্টির অনুষ্ঠানে কি করে যাব? অর্থাৎ যে গীতা পাঠের কর্মসূচি হয়েছে, তাকে সরাসরি বিজেপির কর্মসূচি বলে দাবি করেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুকান্তবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “গোটা মাঠে কোথাও বিজেপির পতাকা দেখেছেন? আমরা হিন্দু হিসেবে ওখানে যোগদান করেছিলাম। হ্যাঁ, আমাদের একটা পরিচয় আছে যে, আমরা রাজনৈতিক নেতা। ওখানে অনেক ডাক্তার, শিক্ষক ছিলেন। তারা রাজনৈতিক নেতা নয়। তারা হিন্দু হিসেবে এসেছিলেন। অনেক ইউটিউবার, সাংবাদিকরা ছিলেন। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ঈদের নামাজে যাবেন, ওকে ওটাই মানায়। ওকে গীতা পাঠে মানাবে না। উনি গীতা উচ্চারণই করতে পারবেন না।”