প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা প্রতিনিয়ত দাবি করেন যে, রাজ্যের সনাতনীরা যদি একত্রিত না হয়ে এই তৃণমূল সরকারকে বিদায় না দেন, তাহলে আগামী দিন বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। ২০২১ এ এসে তারা যেভাবে চাকরি চুরি করেছে, ২০২৬ এ যদি তারা আসে, তাহলে হিন্দু সনাতনীদের অস্তিত্ব বলে কিছু থাকবে না। প্রত্যেকটি সভা থেকে তাই হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কখনও কাকদ্বীপ, কখনও মন্দির বাজারের ঘটনার কথা তুলে ধরে হিন্দু জাগরণের চেষ্টা করছেন তিনি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দাবি করেছিলেন যে, বজরংবলীর মূর্তিকেও ভাঙ্গা হয়েছে। আর আজ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ২০২৬ এর নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার থাকলে রাজ্যে হিন্দুদের কি করুণ দশা হয়, তার জ্বলন্ত প্রমাণ দেখাতে হিন্দু পাড়ায় পোস্টার লাগানোর কথা জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে প্রত্যেকটি সভা থেকে হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর আজ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বড় পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দিলেন তিনি। হিন্দুদের আরও ঐক্যবদ্ধ করতে তৃণমূল সরকারের আমলে হিন্দুদের কি করুণ পরিণতি হয়েছে, তার জ্বলন্ত প্রমাণ যে তিনি সামনে আনবেন এবং প্রত্যেকটি হিন্দু পাড়ায় গতকাল যেভাবে বজরংবলীর মূর্তি এক জায়গায় ভেঙে দেওয়া হয়েছে, সেই ছবি যে তিনি লাগাবেন, সেই কথা জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর যদি সত্যিই ২৬ এর আগে হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করতে বজরংবলীর মূর্তি ভাঙার ছবি লাগিয়ে তিনি হিন্দুদের বিবেক জাগাতে চান, তাহলে তৃণমূলের দিকে যে কয়টা হিন্দু ভোট রয়েছে, তারাও যে মুখ ফিরিয়ে নেবেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিরোধী শিবির।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হনর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই নিজের মোবাইল ফোন থেকে বজরংবলির ভাঙ্গা মূর্তির ছবি দেখিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, “নন্দীগ্রামের সব এলাকায় আমি এই পোস্টারটা লাগাচ্ছি। কি করবেন, আমি দেখবো। হিন্দুদের কাছে এই পোস্টার আমি লাগাবো। (মোবাইলে ছবি দেখিয়ে) দেখুন আপনি, এটা গতকাল হনুমান মূর্তির করেছে। গ্রেপ্তার হয়নি কেন? সব হিন্দু পাড়াতে আমি হনুমানজির এই ভাঙ্গা মূর্তির ছবি লাগাবো। মমতা ব্যানার্জি থাকলে বজরংবলীর কি দশা হয়, দেখুন। সব হিন্দু পাড়াতে আমি লাগাবো। আমি ১ হাজার হোডিং তৈরি করছি। মমতার একটা চোখ বন্ধ। পুলিশের জন্য এই ধরনের বিধর্মী, জেহাদীদের উৎপাত।”