প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্রমশ মন্দির এবং মসজিদের রাজনীতির ওপর ভিত গড়ে উঠছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির। অন্তত তেমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদে হুমায়ুন কবীরের বাবরি মসজিদ শিলান্যাস ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পাল্টা হিন্দু জাগরণকে কেন্দ্র করে ব্রিগেডে ৫ লক্ষ গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছে। প্রত্যেকটি কর্মসূচি থেকে হিন্দুদের একত্রিত করার আহ্বান জানাচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার সল্টলেকে রাম মন্দিরের জন্য পোস্টার পড়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।

ইতিমধ্যেই অযোধ্যায় বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দিরের সূচনা হয়েছে। যার ফলে গর্বিত হয়েছেন গোটা হিন্দু সনাতনীরা। তবে বাংলায় সম্প্রতি বাবরের নামে মসজিদের যে শিলান্যাস হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। কেন বাবরের নামেই মসজিদ করতে হবে, যে বাবর ভারতবর্ষের ক্ষতি করেছে, তার নামেই কেন মসজিদ হবে, তা নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও সোচ্চার হয়েছেন। বাঙালি হিন্দুদের জাগরন না ঘটলে এবং ২৬ এ পরিবর্তন না হলে যে হিন্দু সনাতনী বলে এই পশ্চিমবঙ্গে কিছু থাকবে না, সেই আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি। আর তার মাঝেই গতকাল সল্টলেকে রাম মন্দিরের জন্য একটি পোস্টার পড়তে দেখা গিয়েছে। আর সেই বিষয় নিয়েই এবার বড় মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন সল্টলেকে রাম মন্দিরের দাবিতে যে পোস্টার পড়তে দেখা গিয়েছে, সেই ব্যাপারে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “মন্দির তো করতেই পারে। ভগবান রামচন্দ্র ভারতবর্ষের আত্মা। তিনি আমাদের শৌর্যের প্রতীক। মন্দির তো ব্যয় সাপেক্ষ। সরকারি টাকায় মন্দির হয় না। নিধি সংগ্রহ করে ব্যক্তিগতভাবে করতে হয়। যত মন্দিরময় হবে, ততই রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা হবে। রাম রাজ্যের মূল কথা হচ্ছে, সবাইকে ভালো রাখা, সবাইকে আনন্দে রাখা, সবাইকে সুরক্ষিত রাখা। তাই ভগবান রামচন্দ্র শুধু হিন্দুদের আরাধ্য দেবতা নন, তিনি সুশাসকও বটে। তাই রাম রাজ্যের প্রার্থনা সবাই করে।”