প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকাল হাজার হাজার টাকার টিকিট কেটে যুবভারতীতে প্রবেশ করেছিলেন প্রচুর দর্শক। তারা আশা করেছিলেন যে, একবারটি স্বপ্নের নায়ক মেসিকে দেখতে পাবেন। কিন্তু মেসিকে দেখা তো দূরের কথা, মেসিকে ঘিরে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী এবং তাদের পরিবার, পরিজনেরা। ফলে স্বপ্নের নায়ককে দেখার জন্য হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও যখন তারা তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারলেন না, তখন আর ক্ষোভ সামলে রাখতে পারেনি উত্তেজিত জনতা। সকলের মধ্যে একটাই অসন্তোষ, একটাই বক্তব্য যে, মেসিকে তো ঘিরে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসুরা। ফলে তারা দেখবেন কি করে? ইতিমধ্যেই যুবভারতীর ভেতরে তাণ্ডবের চিত্র সামনে এসেছে। আর জনতার ক্ষোভের যে বহিঃপ্রকাশ, তার ফলে দাবি উঠেছে যে, রাজ্যের এই দুই মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হোক। আর আজ সাংবাদিক বৈঠক থেকে মেসিকে কি করে নিয়েছিলেন, কিভাবে জড়িয়ে ছিলেন এই রাজ্যের একজন মন্ত্রী, তার ছবি দেখিয়ে তার গ্রেপ্তারের দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

গতকাল অনেক আশা নিয়ে প্রচুর দর্শক যুবভারতীতে গিয়েছিলেন। কারণ মেসি আসছেন। তারা ভেবেছিলেন যে, হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে তারা যখন যাচ্ছেন, নিশ্চয়ই একবার মেসিকে দেখতে পাবেন, মেসিও তাদের হাত নাড়বেন। কিন্তু সেখানেও ক্রেডিট নিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী। অরূপ বিশ্বাস এবং সুজিত বসু যেভাবে মেসিকে আগলে রেখেছিলেন, যেভাবে তারা তাদের পরিবার পরিজনকে নিয়েই মেসির সঙ্গে যাতে সকলে ছবি তুলতে পারেন, তার সুযোগ করে দিয়েছিলেন, তাতে ক্রমশ রাগ বাড়ছিলো জনতার। যারা টাকা দিয়ে টিকিট কেটে ভেতরে এসেছেন, তারা কেন মেসিকে দেখতে পাবেন না, এই প্রশ্ন তুলে ধীরে ধীরে অসন্তোষ বাড়তে শুরু করে। যার ফলে দর্শকরা ভেতরে রীতিমত তান্ডব চালায়। ইতিমধ্যেই আয়োজককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে রাজ্যের এই দুই মন্ত্রী তার পরিবারকে নিয়ে যেভাবে মেসিকে আগলে ছিলেন, তাতে তিনি যেভাবে দর্শকদের সঙ্গে মেসিকে দেখা করা থেকে বঞ্চিত করেছেন, তার ফলে প্রশ্ন উঠছে যে, অরূপ বিশ্বাস ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে তো নিজে বাড়তি সুবিধা নিয়েছেন, নিজের পরিবারকে সবথেকে বেশি সুবিধা করে দিয়েছেন। ফলে তার শাস্তি কি হবে না?

এদিন বিজেপি দপ্তরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই রীতিমত ছবি দেখিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের গ্রেপ্তারির দাবি তোলেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এদের লজ্জা হওয়া উচিত। দেখুন, মেসিকে কেমন করে কোল পাঁজা করে রেখেছে। হায়দ্রাবাদকে দেখে এদের শেখা উচিত। এই লোকটাকে তো শুধু বহিষ্কার করা নয়, একে তো জেলে রাখা উচিত।” আর শুভেন্দুবাবুর এই দাবি যে মানুষের মনের দাবি, হাজার হাজার ক্রীড়াপ্রেমী, যারা প্রচুর টাকা দিয়ে টিকিট কেটে যুবভারতীতে গিয়েও নিজের স্বপ্নের নায়কের দেখতে পারেনি। শুধুমাত্র কয়েকজন আদিখ্যেতা পড়া মানুষের জন্য যারা নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তিকে খাতিয়ে নিজেদের পরিবারকে বেশি করে সুযোগ করে দিয়েছেন, তাদের জন্য এবং তার তালিকায় যে রাজ্যের এই স্বনামধন্য মন্ত্রী রছয়েছেন, তা ইতিমধ্যেই উল্লেখ করে শুভেন্দু অধিকারীর সুরেই সুর মিলিয়ে সোচ্চার আপামর ক্রীড়াপ্রেমী দর্শকরা।