প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- যুবভারতী কান্ডে রীতিমত মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের। ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। যেখানে পুলিশ কর্তাদের একাধিক ব্যক্তিদের শোকজ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, গতকাল আবার রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন অরূপ বিশ্বাস। তবে এই সমস্ত পদত্যাগের যে দু পয়সার মূল্য নেই, এই সমস্ত কিছু যে নাটক ছাড়া আর কিছু নয়, সেই ব্যাপারে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। তবে অরূপ বিশ্বাস এই সমস্ত পদত্যাগ করে যতই মানুষ ভোলানোর চেষ্টা করুন, যতই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যুবভারতী কাণ্ডে নিজেদের ইমেজ স্বচ্ছ করার পরিকল্পনা চালান না কেন, এবার সেই বিষয়েই অরূপ বিশ্বাসকে বড় পরামর্শ দিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।
ইতিমধ্যেই অরূপ বিশ্বাস ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। যুবভারতীতে যে ঘটনা ঘটেছে, যে বিশৃঙ্খলা হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে রীতিমত সমালোচনায় সরব হচ্ছে গোটা যুবসমাজ। বিরোধীরা রাজ্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে। রাজ্য সরকার রীতিমত ব্যাকফুটে। আর এই পরিস্থিতিতে গতকাল একটি চিরকুট সামনে আসে। যেখানে দেখতে পাওয়া যায় যে, রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন অরূপ বিশ্বাস। পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী তা অনুমোদন করেছেন বলে খবর সামনে আসে। তবে এই সমস্ত কিছুই যে নাটক, সেই ব্যাপারে খোঁচা দিতে শুরু করেছিল বিরোধীরা। আর এবার বিরোধীদের সুরেই সুর মিলিয়ে তৃণমূলের সাসপেন্ডেড বিধায়ক হুমায়ুন কবীরও বুঝিয়ে দিলেন যে, অরূপ বিশ্বাসের এই পদত্যাগ বাস্তবে নাটক ছাড়া আর কিছু নয়। মানুষ এই সমস্ত কিছুতে কোনোমতেই ভুলবে না।
এদিন যুবভারতী কাণ্ডে অরূপ বিশ্বাসের ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ প্রসঙ্গে হুমায়ুনবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ভরতপুরের বিধায়ক বলেন, “অরূপ বিশ্বাসের মন্ত্রীসভায় যে সমস্ত দপ্তর রয়েছে, সেখান থেকে ইমিডিয়েট পদত্যাগ করতে বলছি। কারণ এই নাটক মানুষ আর শুনবে না। ওই ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রীর চিরকুট দিয়ে পদত্যাগ, আর সেই দপ্তর আবার গিয়ে পড়লো মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। ওর হাতে থাকাও যা, এর হাতে থাকাও তাই। মানুষের কাছে যদি তার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে চায়, তাহলে গোটা ক্যাবিনেটের যে সমস্ত দপ্তর রয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত অরূপ বিশ্বাসের।”