প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- যুবভারতী কান্ডে রীতিমত মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক হয়ে গিয়েছে যে, এত অসন্তোষ যুব সমাজের আছড়ে পড়েছিল যে, সেই যুবভারতীতে, তার পরিপ্রেক্ষিতে রীতিমত ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমারকে শোকজ করা হয়েছে। এমনকি গতকাল আবার রাজ্যের ক্রীড়া মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন অরূপ বিশ্বাস। যদিও বা সেই চিঠি যে ভুলে ভরা এবং এর যে কোনো অর্থ হয় না, এর পুরোটাই যে লোক দেখানো, সেই ব্যাপারে পাল্টা খোঁচা দিচ্ছে বিরোধীরা। তবে অরুপ বিশ্বাস কেন নিজে চিঠি দেবেন? এত বড় ব্যর্থতার কারণে তাকে কেন কান ধরে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেবেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? কেন তিনি চুপচাপ থাকলেন? এবার তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে রাজ্যের একাধিক পুলিশ কর্তাকে শোকজ করা হলেও মুখ্যমন্ত্রী কেন এই ব্যাপারে দায়ী হবেন না, তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
ইতিমধ্যেই যুবভারতীতে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে যে ত্রুটি সামনে এসেছে, তাতে রীতিমত অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। বিরোধীরা রীতিমতো চেপে ধরেছে এই সরকারের কর্মকাণ্ডের জন্য। রাজ্যের দুই মন্ত্রী যেভাবে মেসিকে আগলে ছিলেন, যেভাবে তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাই মেসিকে ঘিরে ধরেছিলেন, তাতে রীতিমত যুব সমাজের মধ্যে থেকেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল। সকলে বিক্ষোভ করার পাশাপাশি যুবভারতীতে নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। প্রত্যেকে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তারা টাকা খরচ করে নিজেদের স্বপ্নের নায়ককে দেখতে এসেছেন। এখানে অরূপ বিশ্বাস বা সুজিত বসুদের দেখতে আসেননি। আর পরিস্থিতি যখন বেগতিক বুঝতে পারছে এই রাজ্য সরকার, তখন গতকাল একটি চিরকুট সামনে আসে। যেখানে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যে, অনেক ভুলে ভরা বানানে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন অরূপ বিশ্বাস। অন্যদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমার সহ বেশ কিছু পুলিশ কর্তাকে শোকজ করা হয়েছে। আর মন্ত্রীদের এই পদত্যাগ এবং ডিজিকে শোকজ করা প্রসঙ্গে এবার পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীর দিকেই প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আর সেখানেই তিনি বলেন, “এই দুই মন্ত্রীর ইস্তফা দরকার। ইস্তফা নয়, মানে মুখ্যমন্ত্রীর সরিয়ে দেওয়া। মানে, ডিসমিস করে দেওয়া। ইস্তফা করতে দেওয়া মানে তো, আপনি তাকে সসম্মানে বেরিয়ে যেতে দিচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত ছিল, কান ধরে ওকে বসিয়ে দেওয়া। সাসপেনশন করে দেওয়া বা ওকে সরিয়ে দেওয়া। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কিছুই করেনি। আর দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে যে, বিজেপি রাজীব কুমারের ওপরে দায় চাপানো হয়, তাহলে পুলিশ মন্ত্রী কেন দায়ী হবে না?”