প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর প্রক্রিয়া চলছে। তবে এসআইআর প্রক্রিয়া চলাকালীন যেভাবে তৃণমূল পন্থী বিএলওরা নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের বাইরে বসে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ করেছিলেন, তা নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকেও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। গোটা প্রক্রিয়ায় যদি এইভাবে বানচাল করার লক্ষ্য নিয়ে তৃণমূলের কিছু মানুষ এইভাবে বিক্ষোভ করেন, তাহলে তো পরিস্থিতি অশান্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে পুলিশের ওপর যে কারওর ভরসা নেই, নির্বাচন কমিশনকে যে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য তদ্বির করতে হবে, সেই দাবিও বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে উঠেছিল। আর অবশেষে যে পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নেওয়া হলো, তাতে জল্পনা তৈরি হচ্ছে যে, ২৬ এর আগে নির্বাচনের অনেক আগেই কি রাজ্যের মোতায়েন হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী?

ইতিমধ্যেই এসআইআর প্রক্রিয়া যখন চলছে, যখন বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন বিএলওরা, তখন তৃণমূল পন্থী বিএলএদের কিছু অংশ সিইও দপ্তরের বাইরে বসে বিক্ষোভ চালাতে শুরু করেন। তবে যখন বিরোধীদের কোনো কর্মসূচি হয়, তখন পুলিশকে সক্রিয় থাকতে দেখা গেলেও এক্ষেত্রে এত স্পর্শকাতর এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কেন পুলিশ সদর্থক ভূমিকা নিচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অবিলম্বে রাজ্যের সিইও অফিস সুরক্ষার জন্য কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করারও দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। একইভাবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, এই রাজ্যের বুকে এসআইআর প্রক্রিয়ায় অনেক বিএলওরাও নিরাপদ নন। তারা নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে চাইলেও, শাসক দলের অনেক নেতার চোখ রাঙানির কাছে তাদের মাথা নত করতে হচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে পুলিশ যখন তাদের সুরক্ষা দেবে না, যখন সিইও অফিসের সুরক্ষা দিতেও ব্যর্থ হচ্ছে এই রাজ্যের দলদাস পুলিশ, তখন একমাত্র উপায় হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো তো বটেই, সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকেও অবিলম্বে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে এই এসআইআর প্রক্রিয়া সমাপ্ত করা উচিত বলে দাবি উঠতে শুরু করেছিলো।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্যের সিইও দপ্তরের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। যেখানে সম্প্রতি দেখা গিয়েছে যে, সিইও দপ্তরের বাইরে তৃণমূল পন্থী বিএলওদের বিক্ষোভ। আর যত দিন এগিয়ে আসবে, যত অনুপ্রবেশকারী, অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ যাবে, ততই কিছু মানুষের গায়ে জ্বালা ধরবে। আর তারা তখন সিইও দপ্তরকে টার্গেট করে সেখানে বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা করবে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন একাংশ। আর সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই যাতে কেউ কোনোভাবেই এসআইআর প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটাতে না পারেন এবং রাজ্যের সিইও দপ্তরের ধারে কাছে ঘেষতে না পারেন, তার জন্য এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর আবেদন করা হচ্ছে। যেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে এই কেন্দ্রীয় বাহিনীর চেয়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন বলে খবর। আর যদি এই চিঠির মান্যতা দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নির্বাচনের আগেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে, তাহলে তা যেমন একটা বেনজির পদক্ষেপ হবে, ঠিক তেমনই যারা এই এসআইআর প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করবার জন্য চেষ্টা করছিলেন, যারা নিজেদের দলদাস বিএলওদের দিয়ে দপ্তরের মধ্যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন, তাদের সমস্ত চেষ্টা বানচাল হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।