প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
প্রায় এক বছরের কিছু বেশি সময় আগে অশান্ত হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। চক্রান্ত করে যেভাবে শেখ হাসিনা এবং তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল, তা বিভিন্ন মহলের সমালোচনার ঝড় তুলেছে। পরবর্তীতে ইউনুস ক্ষমতা দখল করার পর যেভাবে সেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নিরীহ হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চলেছে এবং আবার যেভাবে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশে, তাতে অনেকেই আঁতকে উঠেছেন। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, নির্বাচনের আগে এই হিংসা ঘটানো হচ্ছে। এটা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই পূর্ব পরিকল্পিত একটা পরিকল্পনা, যাতে তারা নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে পারে। আর এবার সেই ব্যাপারেই ভয়ংকর তথ্য সামনে আনলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে অরাজকতার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এক হিন্দু যুবককে যেভাবে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে এবং তারপর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে রীতিমত সোচ্চার হচ্ছে ভারতবর্ষ। যেভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের শেষ করে দেওয়ার নিধন যজ্ঞ চলছে, যেভাবে বর্বর আক্রমণ চালানো হচ্ছে বিভিন্ন স্মৃতিসৌধতে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আবার নতুন করে বাংলাদেশ এইভাবে উত্তপ্ত হচ্ছে কেন? এর পেছনে কি কারন রয়েছে, তা অনেকের কাছেই অজানা। তবে এই গোটা পরিকল্পনা এবং বাংলাদেশকে অশান্ত করার পেছনে যে রাষ্ট্রের ভয়ংকর ষড়যন্ত্র রয়েছে, তা উল্লেখ করে ইউনুসের চাপ বাড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী।
এদিন বাংলাদেশে যেভাবে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন প্রাক্তন মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, “এটা পূর্ব পরিকল্পিত। পরিকল্পনা করে সমস্ত কিছু করা হচ্ছে। পুরোটাই রাষ্ট্রের দ্বারা স্পন্সর করা একটা কার্যকলাপ। নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই পরিকল্পনা করা হয়েছে।” অর্থাৎ ইউনুস প্রশাসন বিরোধীদের যে রাখতে চায় না এবং সেখানে যারা সংখ্যালঘু হিন্দু, তাদের সমস্ত কিছুকে শেষ করে দিতে চায় এবং তারাই যে ক্ষমতা দখল করতে চায়, তা স্পষ্ট করে দিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে, কিছু মানুষকে এই বর্বরোচিত আক্রমণের জন্য ভয়ংকর ধ্বংসলীলায় নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে যদি এটাই সত্যি হয়, তাহলে ইউনুসের মুখোশ খুলে যাওয়া যে শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।