প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ বিহার বিধানসভার নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছে বিরোধীরা। আর তারপরেই পশ্চিমবঙ্গ যে এবার তাদের টার্গেট, তা স্পষ্ট করে দিচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, অঙ্গ, কলিঙ্গ দখল হয়ে গিয়েছে। এবার দখল হবে বঙ্গ। তৃণমূল অবশ্য দাবী করছে বিহারের ফলাফলের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে পরবেনা এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও মুখ্যমন্ত্রী হবেন। এমনকি এসআইআরের বিরুদ্ধে চলতি মাসেই একের পর এক জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর সেই ব্যাপারে বিহার বিধানসভার ফলাফলের পর প্রশ্ন করতেই সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হরিদাস পাল সম্বোধন করে তিনি যে রাস্তা দিয়ে হেটেছেন, সেখানেই অতীতে বিজেপি জিতেছে বলে রীতিমত হেসে ফেললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আজ বিহার বিধানসভার ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পরেই রীতিমত উজ্জীবিত গোটা বঙ্গ বিজেপি। তারা এবার আশাবাদী যে, এবার পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা তাদের দখলে আসতে চলেছে। এতদিন পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অতটা সিরিয়াস না হলেও বিহার দখল করার পর এবার তারা পশ্চিমবঙ্গের জন্য সর্বতভাবে ঝাঁপিয়ে পড়বে এবং রণকৌশল স্থির করবে বলেই আশাবাদী গেরুয়া শিবিরের নেতা কর্মীরা। আর তার মাঝেই এসআইআরের বিরুদ্ধে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে জেলায় জেলায় ঘুরে প্রতিবাদ কর্মসূচি করবেন, তা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে দিলেন যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অতীতে যে সমস্ত জায়গা দিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি করেছেন, সেখানেই বিজেপি জিতেছে। তাই এই সমস্ত নেতার বিন্দুমাত্র গুরুত্ব নেই বলেই দাবি করলেন তিনি।

এদিন বিহার বিধানসভার ফলাফলের পরেই আরও বেশি উজ্জীবিত হতে দেখা যায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তবে তাকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চলতি মাস থেকেই এসআইআরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচি করবেন। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ” তিনি কে হরিদাস পাল? উনি চন্ডিপুর থেকে নন্দীগ্রামে পদযাত্রা করেছিলেন পুলিশকে নিয়ে। আমি জিতেছিলাম ২ হাজারে। অভিজিৎ গাঙ্গুলী জিতেছিলেন ৮ হাজার ২০০ ভোটে। উনি যে রাস্তা দিয়ে হেঁটেছিলেন, তার সব পঞ্চায়েত বিজেপি জিতেছে। ওর আসার পথের রাস্তায় যতগুলো গ্রাম পঞ্চায়েত ছিলহ সব কটাতেই বিজেপি জিতেছে। ওকে লোক চোর বলে মনে করে, তোলাবাদ ভাইপো বলে। উনি এবং ওনার পিসি বেকারদের চাকরি খেয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গকে ধ্বংসের জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন হিন্দু দেবদেবীর ওপরে আক্রমণ করেছেন। কালি ঠাকুরকে প্রিজন ভ্যানে তুলেছেন। কেউ মেনে নেবে না।”