প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে রাজ্য বিধানসভা পরিচালনা করে এবং যেভাবে তাদের কথায় নিরপেক্ষতা লঙ্ঘন করে কাজ করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ, তাতে তার ভূমিকা নিয়ে বারবার করে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। কিছুদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারী এবং অম্বিকা রায়ের করা একটি মামলায় তৃণমূল কংগ্রেস বিধানসভার অধ্যক্ষ মতো ব্যাক ফুটে পড়ে গিয়েছে। বিজেপির টিকিটে জিতে তৃণমূলে যোগদান করার পরেও যেভাবে মুকুল রায়কে বিধানসভার ভেতরে বিজেপি বিধায়ক বলে মন্তব্য করেছিলেন স্পিকার, তাতে মুকুল রায়ের সদস্য পদ খারিজের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। আর সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষকে চাপে ফেলে দিয়ে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করে দেয় আদালত। আর তারপরেই শুভেন্দু অধিকারী হুশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, আরও যারা বিজেপির টিকিটে জিতে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন, এবার তাদের সদস্য পদ খারিজের জন্য তিনি আদালতের শরণাপন্ন হবেন। তবে আদালতে যাওয়ার আগে নিজের ন্যূনতম নিয়মটুকু পালন করে নিতে চান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এক্ষেত্রে স্পিকারের কাছে অভিযোগ জানাতে চান তিনি। তাই দলবদলু যে সমস্ত বিধায়করা এখনও পর্যন্ত পদত্যাগ করেননি, তাদের বিরুদ্ধে আগামীকালই রাজ্য বিধানসভায় স্পিকারের কাছে অভিযোগ জানাতে চলেছে বিজেপি।
ইতিমধ্যেই মুকুল রায়ের সদস্য পদ খারিজ হওয়ার পর তৃণমূল রীতিমত চাপে পড়ে গিয়েছে। তবে তৃণমূলের থেকেও বেশি চাপে পড়ে গিয়েছেন সেই সমস্ত বিধায়করা, যারা বিজেপির টিকিটে জিতে অনায়াসে দলবদল করেছেন। বিধানসভার ভেতরে তাদেরকে বিজেপি বলে চালানো হয়। কিন্তু বাইরে তারা তৃণমূলের কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকেন। তাই একদলের টিকিটে জিতে অন্য দলে যোগদান করার পরেও কেন তারা পদ থেকে পদত্যাগ করবেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে! তাই মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের পর বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে গিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাই এবার আরও যারা দল বদলু বিধায়ক রয়েছেন, তাদের জব্দ করতে আগামীকালই বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছেন তিনি।
এদিন বীরভূমের কীর্নাহারে দলীয় সভার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই মুকুল রায়ের পর আরও যারা দলবদলু বিধায়ক রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে তার পদক্ষেপ কি হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমরা আগামীকালই তাপসী মন্ডল, হরকালি প্রতিহার এবং সুমন কাঞ্জিলারের ব্যাপারে সমস্ত তথ্য ভিডিও, অডিও স্পিকারের কাছে জমা করছি। আর তন্ময় ঘোষ, তার মামলা স্পিকার যেহেতু বিবেচনা করেননি, তিন বছর হয়ে গিয়েছে। সেটা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করছি।”