প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
যে কেউ ট্রাস্টের মাধ্যমে মন্দির, মসজিদ করতেই পারেন। সরকার কোনোদিনও মন্দির, মসজিদ করতে পারে না। এর আগে যখন দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের নামে কালচারাল সেন্টারের সূচনা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন বারবার সরকারি টাকায় কোনো মন্দির যে হয় না, তা জানিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বর্তমানে রাজ্য রাজনীতিতে একটাই খবর যে, হুমায়ুন কবীর বাবরি মসজিদে শিলান্যাস করছেন। তবে প্রশ্ন একটাই, মসজিদ তিনি করতেই পারেন। কিন্তু এই বাবরের নাম দিয়ে কেন মসজিদ হবে? যে বাবর বারবার ভারতবর্ষকে আক্রমণ করেছেন, যে বাবর ভারতবর্ষের শত্রু, তার নামে মসজিদ কেন? বিভিন্ন মহল থেকে এই প্রশ্ন উঠেছে। তবে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হয়ে হুমায়ুন কবীর যতই তৃণমূলের বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বলুন না কেন, তার এই বাবরের নামে মসজিদকে যে মোটেই সমর্থন করেন না তিনি, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বেশ অনেকদিন আগেই বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন কবীর। গতকাল তাকে তৃণমূল দল থেকে সাসপেন্ড করেছে। আগামীকাল তিনি বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করছেন। তবে তিনি তার মত করে যে কোনো মসজিদ করতেই পারেন। কিন্তু সকলের একটাই প্রশ্ন, কেন বাবরের নামে এই মসজিদ? অনেকে আবার বলছেন, তৃণমূল তাকে লোক দেখানো সাসপেন্ড করেছে ঠিকই। কিন্তু তলায় তলায় দুজনের মধ্যে যথেষ্ট ভাব রয়েছে। এরা ভোট কাটার জন্য ভোটের আগে এই ধরনের প্ল্যান করেছে। তবে তার কতটা কি রয়েছে, সেটা সময় বলবে। কিন্তু আজ পরিষ্কার ভাষায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বুঝিয়ে দিলেন, বাবরের নাম দিয়ে যে মসজিদ হচ্ছে, তাতে তাদের নামকরণেই মূল আপত্তি রয়েছে।
এদিন পুরুলিয়ায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই রাত পোহালেই বাবরি মসজিদের যে শিলান্যাস হুমায়ুন কবীর করছেন, তা নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, “নামকরণে আপত্তি আছে। মোগল, পাঠানরা ভারত দখল করতে এসেছিল। অত্যাচার করেছে। জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করেছে, মন্দির ভেঙেছে, মা-বোনেদের ইজ্জত লুটেছে। তাই বাবরি নামকরণে আমাদের প্রত্যেকটি রাষ্ট্রবাদীর, সে যে ধর্মেরই হোক, আপত্তি আছে। এই নামকরণকে কেউ সমর্থন করে না। এরা আগুন নিয়ে খেলছে।”