প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজনীতি করতে গিয়ে রাজনৈতিক নেতারা বিভিন্ন সময়ে বেলাগাম মন্তব্য করে বসেন। কিন্তু একদিকে তিনি যেমন রাজনীতিবিদ, ঠিক তেমনই তিনি তো একজন প্রখ্যাত আইনজীবী। ফলে আইনের মারপ্যাঁচ যিনি বোঝেন, তিনি কি করে সেই আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে, সংবিধানকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে এইভাবে আক্রমণ করতে পারেন? অবশ্য তৃণমূল দল করলে যে এই সমস্ত কিছুর ঊর্ধ্বে উঠতে হয় এবং কোনো কিছুর তোয়াক্কা করতে হয় না, প্রতিমুহূর্তে সংবিধান, গণতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ জানাতে হয়, তা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যপাল এবং রাজভবনের উদ্দেশ্যে যে আক্রমণ, তারপরেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল বিরোধীদের কাছে। তবে যে আইনের ব্যবসা করে তিনি প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, যে আইন নিয়ে তিনি চর্চা করেন একজন আইনজীবী হয়ে সেই আইনকেই যখন কল্যান ব্যানার্জি চ্যালেঞ্জ জানালেন, তখন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করলেন দিলীপ ঘোষ।
ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যবাসী জেনে গিয়েছেন যে, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান তথা রাজ্যপাল এবং রাজভবনের উদ্দেশ্যে কতটা ভয়ংকর মন্তব্য করেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে রাজভবনে বিস্ফোরক মজুত আছে বলে তার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপাল পাল্টা তাকে চ্যালেঞ্জ করে বসেন। এমনকি রাজভবনে বম্ব স্কোয়াড নিয়ে এসে তল্লাশি চালানো হয়। খুলে দেওয়া হয় গোটা রাজভবন। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্যপাল ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন বলে খবর। আর এসবের মধ্যেই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের উদ্দেশ্যে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।
এদিন রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে মন্তব্য সেই বিষয়ে দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “কল্যান ব্যানার্জি একজন আইনজীবী হয়ে, একজন সাংসদ হয়ে যে ধরনের বক্তব্য রেখেছেন, রাস্তার লোকেরাও এসব বলে না। শুধুমাত্র নাম কামানোর জন্য মিডিয়াতে এসে এই ধরনের কথা বলছেন। আর রাজ্যপাল সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য করে, সংবিধানড় হাইকোর্ট যেটা করে এতদিন খেলেন, সেটার মর্ম বোঝেন না! এই সমস্ত কিছু বলছেন? কোন চ্যাংড়া ছেলে, কোনো বুথের নেতা বলতে পারে। কিন্তু কল্যাণ ব্যানার্জি যদি বলে, এটা তো আমাদের গণতন্ত্রের, সংবিধানের অপমান। আইনি ব্যবস্থা অবশ্যই হওয়া উচিত।”