প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ থেকেই সংসদে শুরু হচ্ছে শীতকালীন অধিবেশন। আর এই অধিবেশনকে ভন্ডুল করতে কংগ্রেস থেকে শুরু করে বিরোধীরা যে ব্যাপক হট্টগোল প্রথম দিন থেকেই চালিয়ে যাবে, সেই ব্যাপারে যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে বিজেপি তথা এনডিএ শিবিরের মধ্যে। কেননা এসআইআরের পর বিহারে প্রথম নির্বাচন হয়েছে। আর সেখানে যেভাবে কংগ্রেস থেকে শুরু করে বিরোধীরা পর্যদস্তু হয়েছে, তাতে তারা এই হারকে মেনে নিতে পারছে না। আর সেই কারণে তারা সংসদের অধিবেশনকে হট্টগোলের মধ্যে দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার একটা মরিয়া চেষ্টা চালাবে, এইরকম আশঙ্কা বিভিন্ন মহলে ছিল। তবে অধিবেশন শুরুর আগেই কংগ্রেস থেকে শুরু করে বিরোধীদের বড় বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সম্প্রতি বিহারে যে নির্বাচন হয়েছে এবং সেখানে যেভাবে কংগ্রেস এত মাতামাতি করার পরেও নামমাত্র আসন পেয়েছে, তাতে বিরোধী শক্তি বলে যে দেশে কিছুই নেই, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে সকলের কাছে। রাহুল গান্ধী, তেজস্বী যাদবরা প্রচারে ব্যাপক ঝড় তুললেও ফলাফলে তাদের শোচনীয় দশা সামনে এসেছে। আর বিহারে যে পরাজয় বিরোধীদের হয়েছে, তাতে তারা আজ থেকে শুরু হওয়া সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এসআইআরের মত বিষয়কে হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে, এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু প্রথমেই সেই অধিবেশন শুরুর আগেই যে ঝটকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিলেনড় তাতে সংসদের অধিবেশনকে ভন্ডুল করার চেষ্টা করলেও বিরোধীরা যথেষ্ট চাপে থাকবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিন সংসদে অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “গণতন্ত্রে কাজ হয়, প্রমাণ করেছে ভারত। সংসদে আলোচনার পরিবেশ বজায় রাখুন। পরপর পরাজয়ের কারণে হতাশাগগ্রস্ত কংগ্রেস। হারের হতাশাকে আলোচনার ময়দানে টেনে আনবেন না।” অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন যে, আজ থেকে সংসদের অধিবেশন শুরু হচ্ছে। আর সেই অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে। কিন্তু সেখানে সেই অধিবেশনকে ভন্ডুল করতে বিক্ষোভের মধ্যে দিয়ে কংগ্রেস বা বিরোধীরা চিৎকার চেঁচামেচি করবে। কিন্তু তারা জনতার কাছে যেভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, তাতে সেই রাগে সংসদের অধিবেশনকে যদি তারা ভন্ডুল করার চেষ্টা করে, তাহলে তা গণতন্ত্রের পক্ষে যে অত্যন্ত বিপদজনক, তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে কংগ্রেস থেকে শুরু করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদী বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।