প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির নজরে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রহার সিনহা। ইতিমধ্যেই শাসক দলের অনেক নেতা মন্ত্রীর নাম এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে। অনেকে জেলের মধ্যে রয়েছেন। তবে সবথেকে বেশি চর্চা হচ্ছে এখন রাজ্যের কারামন্ত্রীকে ঘিরে। আজ ইডির পক্ষ থেকে তাকে হেফাজতে নেওয়ার যে আবেদন, তার ভিত্তিতে আদালতের শুনানি হওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই আদালতে পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। আর সেখানেই আজ রায়দান করবেন বিচারক। আর সেই রায়ের ওপর ভিত্তি করেই চন্দ্রনাথ সিনহার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হবে।

বলা বাহুল্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই চন্দ্রনাথ সিনহা অনেকদিন ধরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছেন। কুন্তল ঘোষের বাড়ি থেকে যে ডায়েরি পাওয়া গিয়েছে, সেখানে চন্দ্রনাথ সিনহার নাম উল্লেখ রয়েছে বলে খবর। আর তার নামের পাশে ১৫৯ লেখা রয়েছে। আর সেই তথ্য সামনে আসার পরেই প্রশ্ন উঠছে যে, তাহলে কি ১৫৯ জনের চাকরি অবৈধভাবে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন রাজ্যের কারামন্ত্রী? ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তার একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে। যেখানে তার বাড়ি থেকেও প্রচুর অর্থ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের এই মন্ত্রীকে এখন হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চাইছে ইডি। ইতিমধ্যেই গত বৃহস্পতিবারের মধ্যে আদালত চন্দ্রনাথ সিনহাকে নিজের বক্তব্য জানাতে বলেছিল। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাও নিজেদের বক্তব্য জানিয়ে দিয়েছে। তাই আজ চূড়ান্ত রায় দেওয়ার কথা আদালতের। সেদিক থেকে আদালত কি রায় দেয়, তা অবশ্যই লক্ষ্যনীয় বিষয় সকলের কাছে।

বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত নেতা-মন্ত্রীরা এই নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। প্রত্যেকেই অবৈধভাবে চাকরি দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই একের পর এক তথ্য সামনে আসছে। তাই আসল মাথাকে ধরতে গেলে এই সমস্ত চুনোপুটিকে অবশ্যই হেফাজতে নিয়ে জেরা করা প্রয়োজন। কারণ চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়ি থেকেও প্রচুর অর্থ উদ্ধার হয়েছে। তাই আদালত কি রায় দেবে, তা অবশ্যই আদালতের ব্যাপার‌। তবে জনতার প্রয়োজনে এই দুর্নীতির পর্দাফাঁস করতে চন্দ্রনাথ সিনহার শ্রীঘরে যাওয়া প্রয়োজন বলেই দাবি করছে গেরুয়া শিবির।