প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ গোটা দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ১০ টি শ্রমিক সংগঠন। বাংলাতেও বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা যাচ্ছে বাম, কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের। তবে রাজ্যকে সচল রাখতে নবান্নের পক্ষ থেকে সরকারি অফিসে হাজিরা বাধ্যতামূলক বলেই জানানো হয়েছে। আর এসবের মধ্যেই দুর্গাপুরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লো। যেখানে বনধ সমর্থনকারীরা রীতিমত রেল অবরোধ করতেই তাদের সরিয়ে দিতে বাধ্য হলো পুলিশ।
জানা গিয়েছে, এদিন বনধের সমর্থনে সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মিছিল করতে দেখা যাচ্ছে বামেদের শ্রমিক সংগঠনগুলিকে। দুর্গাপুরে কার্যত রেলের লাইনের ওপরে উঠে রেল অবরোধের চেষ্টা করেন বনধ সমর্থন কারীরা। সিপিএমের পতাকা হাতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়। পাল্টা পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন বনধ সমর্থনকারীরা। পরবর্তীতে দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় প্রবল ধস্তাধস্তি।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এভাবেই পুলিশ কন্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে। শ্রমিকদের স্বার্থেই এই ধর্মঘট। আর সেই ধর্মঘটকে সফল করতে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত রাস্তায় নেমেছেন। আর আন্দোলনকারীরা যখন রাস্তায় নেমেছেন, তখন তাদের সরিয়ে দিয়ে গায়ের জোরে পুলিশের এই ধরনের আচরণ অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেই দাবি বনধ সমর্থনকারীদের।
পর্যবেক্ষকদের মতে, গোটা দেশজুড়ে এই ধর্মঘটের প্রভাব কেমন পড়লো, তা দিনের শেষে স্পষ্ট হবে। তবে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ধর্মঘটকে সফল করতে সকাল থেকেই বামপন্থী নেতা কর্মীদের সক্রিয়তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দুর্গাপুরেও যেভাবে তারা রেললাইন অবরোধ করে ট্রেন আটকে দেওয়ার চেষ্টা করলেন, তাতে ব্যাপক উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো। তবে এই ধর্মঘটকে হাতিয়ার করে বামপন্থীরা যে আবার ময়দানে ফিরে আসার চেষ্টা করছে এবং তাদের শক্তি প্রদর্শন করার মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে পুলিশের সঙ্গে বামপন্থী নেতা কর্মী এবং বনধ সমর্থনকারীদের এই ধস্তাধস্তির পর গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।