প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলেই এক ধরনের নেতা থাকেন চরমপন্থী। আর এক ধরনের নেতা থাকেন, নরমপন্থী। বর্তমানে রাজ্য বিজেপি যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে, তাতে শমীক ভট্টাচার্য, সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারীর জুটি দেখে উজ্জীবিত হচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। একটাই লক্ষ্য, ২০২৬-এ তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। রাজ্য সভাপতি হিসেবে শমীক ভট্টাচার্য আদ্যপ্রান্ত একজন শিক্ষিত, নম্র, ভদ্র স্বভাবের মানুষ। শুভেন্দু অধিকারী যে ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলকে আক্রমণ করেন, যেভাবে চাচাছোলা বক্তব্য রাখেন তিনি, ঠিক তার বিপরীত ধর্মী নম্র, ভদ্র ভাষায় বক্তব্য রেখে তৃণমূলকে খোঁচা দেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। কিছুদিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারত হিলিয়ে দেওয়ার মতো মন্তব্য করেছেন। যার পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে তাকে তুলোধোনা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার সেই ব্যাপারেই মন্তব্য করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অস্বস্তি আরও দ্বিগুণভাবে বাড়িয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।

এই রাজ্যে এসআইআর শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস বলতে শুরু করেছিল যে, তারা কোনোমতেই এসআইআর করতে দেবে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই এসআইআর প্রক্রিয়া চলছে। তৃণমূলের সবটাই যে ফাঁকা আওয়াজ, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে সকলের কাছে। আর এর মাঝেই যখন অবৈধ ভোটারদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগে বনগাঁর সভা থেকে একটি মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, তিনি নাকি ভারত হিলিয়ে দেবেন। আর তারপরেই অট্টহাসি শুরু হয়ে গিয়েছিল বিজেপি নেতাদের মধ্যে। আর সেই ব্যাপারেই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে “আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কোনো সাধারণ মুখ্যমন্ত্রী নন” বলে ধীর স্থির বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোকে রীতিমত খোঁচা দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।

এদিন বিজেপির একটি সভায় বক্তব্য রাখেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। আর সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর কিছুদিন আগে ভারত হিলিয়ে দেওয়ার যে মন্তব্য, তার জবাব দেন তিনি। শমীকবাবু বলেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী শরীরী ভাষা অন্যরকম। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু সাধারণ মুখ্যমন্ত্রী নন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী দিল্লিতে যে কোনো দিন ঝড় তুলতে পারেন। বলেছেন, গোটা দেশকে নাকি হিলিয়ে দেবেন। আমি জানতে পারছি না, পশ্চিমবঙ্গে নিম গাছকে হেলাতে পারবেন কিনা। আর বলছেন, দিল্লি হিলিয়ে দেবেন। কারন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী লন্ডনে রবীন্দ্রনাথ আর শেক্সপিয়ারের মিটিং করাতে পারেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী রাকেশ রোশনকে চাঁদে পাঠাতে পারেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী গান্ধীজীর অনশন রবীন্দ্রনাথকে দিয়ে ফলের রস খাইয়ে ভেঙে দিতে পারেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী গীতিকার, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সুরকার।”