প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একসময় এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী দল পরিবর্তন করে বিজেপিতে এসেছিলেন, তার পেছনে বেশ কিছু কারণ ছিল। আর সব থেকে বড় কারণ যে, দুদিন হলো পার্টিতে এসে মাতব্বরি করা ভাইপোর দাদাগিরি তিনি মেনে নিতে পারেননি এবং সেই কারণেই যে তিনি লিমিটেড কোম্পানি ছেড়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলে সামিল হয়েছেন, সেই কথা বারবার প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে বলেছেন রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা। তবে ২৬ এর নির্বাচনে গিয়ে আসতেই যেভাবে তৃণমূলে বিদ্রোহ বাড়ছে, যেভাবে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক প্রকাশ্যে দলের একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সোচ্চার হচ্ছেন, তাতে প্রশ্ন উঠছে যে, তিনি এবার কি আরও বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন? অতীতেও একাধিকবার দল পরিবর্তন করেছেন। এবার কি আবার দল পরিবর্তনের মত সিদ্ধান্ত নেবেন হুমায়ুন কবীর? তবে এসবের মাঝেই আজ আবারও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দল তো বটেই, দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে তো প্রশ্ন তোলা বটেই, একেবারে ঘুরিয়ে নাম না নিলেও সরাসরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক।

প্রসঙ্গত, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তবে তার আগে ক্রমশ তৃণমূলে বিদ্রোহ বাড়ছে। জেলায় জেলায় তৃণমূলের একাধিক নেতৃত্ব নিয়ে তৈরি হচ্ছে অসন্তোষ। সাম্প্রতিককালে প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমের সামনে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা যাচ্ছে হুমায়ুন কবীরকে। দল যদি তার কথা না শোনে, তাহলে তিনি যে চরম পদক্ষেপ নিতে পারেন, সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন এই তৃণমূল বিধায়ক। আর এসবের মধ্যেই আজ সাংবাদিক বৈঠকে একেবারে দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ডের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন হুমায়ুন কবীর। অতীতে তাকে যে কথা বলা হয়েছিল, তারপরেও তিনি সেই কথা রাখেননি। তাই তিনি আর যে সেই নেতার পায়ে গিয়ে পড়তে পারবেন না, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক।

এদিন হুমায়ুন কবীর বলেন, “কেন বেলাগাম হব না? আমি তো ক্যামাক স্ট্রিটের সর্বোচ্চ কর্তাকে ১৯ মার্চ ২০২৪, স্বশরীরে গিয়ে বলেছিলাম, আমি ইউসুফ পাঠানের হয়ে ভোট করব না। আমাকে ডেকে পাঠিয়েছিল। আমি শুধু বলেছিলাম, আমার বিধানসভার দুটি ব্লকের যারা দায়িত্বে রয়েছেন, তারা বিগত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে টাকা দিয়ে টিকিট বিলি করেছেন এবং পার্টি নিয়ে ব্যবসা করছেন, তাদের আপনি পরিবর্তন করে দেন। তিনি চিঠি হাতে নিয়ে বলেছিলেন, পরিবর্তন করে দেব, কোনো সমস্যা হবে না। আজ পর্যন্ত পরিবর্তন করা হয়নি। তাহলে আমাকে কি তার পায়ে গিয়ে পড়তে হবে নাকি? তার পায়ে গিয়ে ধরতে হবে? রাজনীতি করে খাই নাকি আমি! তাই বলে এখানে কাউকে লুটেপুটে খেতে দেব না।”