প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী খুব ভালো মতই জানেন যে, পশ্চিমবঙ্গে এবার আর তিনি সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন না। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরানোর জন্য বিজেপির ওপর তলার যে নেতাদের যে মনোভাবই থাকুক না কেন, অমিত শাহ যে প্রথম থেকেই বাংলায় ক্ষমতা দখল করার ব্যাপারে একের পর এক প্ল্যান তৈরি করছেন, তা খুব ভালো মতই বুঝতে পারছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর যে অমিত শাহের প্ল্যানের ওপর নির্ভর করে একের পর এক রাজ্য জয় করছে বিজেপি, সেই অমিত শাহ যখন বাংলাকে টার্গেট করে ফেলেছেন, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পারছেন যে, তার কাছে আর কোনো উপায় নেই। তাই যেভাবেই হোক, সেই অমিত শাহকে যা খুশি তাই বলে আক্রমণ করতে শুরু করেছেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। আজ কৃষ্ণনগরের সভা থেকে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে যে মন্তব্য করলেন, তাতে সকলে একটা কথাই বলছেন যে, অমিত শাহের ভয়ে এবার থরথর করে কাঁপতে শুরু করেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

এর আগেও এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদীর থেকেও অমিত শাহকে ডেঞ্জারেস বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে যা খুশি তাই বলে আক্রমণ করেছিলেন। আর আজ কৃষ্ণনগরের সভা থেকে তিনি আরও বড় মন্তব্য করে বসলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এসআইআর করো, আর যাই করো, বাংলা থেকে কাউকে তাড়াতে দেব না। সীমান্ত এলাকায় যেখানে বিএসএফ আছে, তাদের ধারে কাছে যাবেন না। একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন, তিনি করতে পারেন না, এমন কিছু নেই। তার চোখ দেখলেই মনে হয় ভয়ংকর। তার এক চোখে দুর্যোধন, অন্য চোখে দুঃশাসন।”

আর মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরেই বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পেরেছেন যে, অমিত শাহের স্ট্র্যাটেজির ওপর ভিত্তি করেই এবার বাংলা দখল করবে বিজেপি। আর এক্ষেত্রে কোনো রকম কম্প্রোমাইজ করা হবে না। আর সেই কারণেই যখন বৈধ ভোটারদের ভোটার তালিকা রাখায় প্রক্রিয়া চলছে, যখন অনুপ্রবেশকারীরা রাজ্য থেকে বিতাড়িত হচ্ছেন, তখন সর্ষের ফুল দেখতে শুরু করেছেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। যে কারণে তিনি এখন অমিত শাহকে যা খুশি তাই বলে আক্রমণ করে ময়দানে টিকে থাকার চেষ্টা করছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যত বেশি অমিত শাহ এবং বিজেপিকে আক্রমণ করবেন, ততই বাংলার মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে রায় দেবেন। ২৬ এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামের আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যুক্ত হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের।