প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠ অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। যেখানে ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছে গোটা বাংলা তথা গোটা দেশ। যেখানে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে আসবার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সংখ্যাটা ৫ লক্ষ বলা হলেও, যে উৎসাহ উদ্দীপনা চোখে পড়েছে, তাতে সেই সংখ্যা ছাপিয়ে গিয়েছে বলেই মনে করছেন উদ্যোক্তারা। তবে প্রচুর মানুষ এখানে উপস্থিত হলেও, একজন হিন্দু সনাতনী হিসেবে আমন্ত্রণ পাওয়া সত্ত্বেও, কেন সেখানে আসলে না এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? গতকালই মুখ্যমন্ত্রী কেন এখানে আসবেন না, সেই নিয়ে কটাক্ষ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর আজ বিজেপির একাধিক নেতৃত্ব থেকে শুরু করে হিন্দু সনাতনী এবং অন্য সম্প্রদায়ের মানুষরাও সেই মহতী কর্মসূচিতে উপস্থিত হলেও, মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে বড় তথ্য ফাঁস করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা।

ইতিমধ্যেই ব্রিগেডে ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠ সমাপ্ত হয়েছে। প্রচুর হিন্দু সনাতনীদের গর্জনে খোল, করতালে মুখরিত হয়ে উঠেছে ব্রিগেড ময়দান। প্রত্যেক হিন্দু সনাতনীদের কাছে আজ এটা গর্বের বিষয়। আর গীতা শুধু হিন্দু ধর্মের নয়, গীতা প্রত্যেকটি ধর্মের সংহতির কথা বলে, গীতা আত্মার কথা বলে। তাই সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এই কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন উদ্যোক্তারা। আর সেখানেই উপস্থিত হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমে প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতির কারণ জানিয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।

এদিন বিজেপির তরফে একাধিক নেতৃত্ব ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। আর সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই মহতী কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, তিনি এলেন না কেন, সেই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের তরফে প্রশ্ন করা হয় বিজেপি নেতা রাহুল সিনহাকে। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাহুলবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আসবে না তো। মুখ্যমন্ত্রী আসলে ভোট কমে যাবে। কারণ মুসলমানরা এখন যদি ক্ষেপে যায়, তাহলে মমতা ব্যানার্জির সর্বনাশ। অনুপ্রবেশকারীরা ভেগে যাচ্ছে। আর তারা চলে যাওয়ার পরে যদি মুসলমান অনুপ্রবেশকারীরা ক্ষেপে যায়, তাহলে তৃণমূলের পক্ষে সর্বনাশ।”