প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের পুলিশ কতটা দলদাস, তা নিয়ে বারবার করে সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরা। তবে অনুব্রত মণ্ডলের মত তৃণমূলের একজন নেতা, সেই পুলিশের মা, বউ তুলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ এবং হুমকি দেওয়ার পরেও যে পুলিশ নিজেদের মেরুদন্ড সোজা রেখে তাকে গ্রেফতার করতে পারে না, তাদের ওপর কি করে মানুষ ভরসা রাখবে, এই প্রশ্ন ক্রমাগত রাজ্যজুড়ে উঠেছে। প্রমাণ হয়ে গিয়েছে যে, তৃণমূল নেতাদের বেলায় পুলিশের কোনো আইন নেই। এমনকি পুলিশ কর্মীদের তৃণমূল নেতারা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করলেও, তাদের ক্ষমতা নেই সেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রে অন্তত তেমনটাই ঘটেছে বলেই দাবি বিরোধীদের। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে বীরভূমের এসপিকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। আর দিল্লি থেকে ডাক আসতেই কি চাপে পড়ে গেলেন বীরভূমের এসপি? ইতিমধ্যেই তিনি যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, তা নিয়ে নানা মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে চর্চা।
প্রসঙ্গত, বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের পুলিশকে কুকথাকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যের রাজনীতি সর গরম হয়ে উঠেছিল। কিন্তু তারপরেও পুলিশ কেন তাকে গ্রেপ্তার পর্যন্ত করতে পারেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বিভিন্ন মহলে। প্রমাণ হয়ে গিয়েছিল যে, এই রাজ্যের পুলিশের তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার মত বিন্দুমাত্র মেরুদন্ড নেই। অন্তত তেমনটাই দাবি করেছিলেন বিরোধী নেতারা। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে দিল্লিতে জাতীয় মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে বীরভূমের এসপিকে তলব করা হয়েছিল। আর তার পাল্টা এবার বীরভূমের এসপি কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হলেন।
জানা গিয়েছে, আগামী ১৪ জুলাই জাতীয় মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে বীরভূমের এসপিকে। মূলত, অনুব্রত মণ্ডল পুলিশকে যে কথা বলেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতেই জাতীয় মহিলা কমিশন এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর আগেও বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তিনি সেখানে যেতে পারবেন না বলে জাতীয় মহিলা কমিশনকে জানিয়েছিলেন বীরভূমের এসপি। কিন্তু এবার সম্পূর্ণরূপে সেই হাজিরা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য জাতীয় মহিলা কমিশনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন বীরভূমের পুলিশ সুপার। আর সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার কলকাতা হাইকোর্ট কি নির্দেশ দেয় এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লিতে হাজিরা এড়াতে পারেন কিনা বীরভূমের এসপি, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।