প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ বিহারে এসআইআরের প্রতিবাদে বিরোধী জোট ইন্ডির সাংসদরা একত্রিত হয়ে সংসদ ভবন থেকে নির্বাচন কমিশনের দপ্তর পর্যন্ত মিছিল করার পরিকল্পনা করেছিলেন। ইতিমধ্যেই সেই কর্মসূচি শেষ হয়েছে। বেশ কিছু সাংসদ অসুস্থ এবং পুলিশের পক্ষ থেকে তারা বাধা পেয়েছেন বলে খবর। তবে প্রথম থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল যে, যারা জনপ্রতিনিধি, তারা নিজেদের দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রতিবাদ করবেন। কিন্তু সেই প্রতিবাদ করার ক্ষেত্রে যে অনুমতি নিতে হয়, সেই অনুমতি কি তারা দিল্লি পুলিশের কাছ থেকে নিয়েছে! নাকি অনুমতি না নিয়েই তারা আইন ভঙ্গ করার চেষ্টা করছে! আর এসবের মধ্যেই দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে যে কর্মসূচি করা হচ্ছে, তার জন্য তারা কোনো অনুমতি নেননি।
বলা বাহুল্য, এদিন ইন্ডি জোটের পক্ষ থেকে সংসদ ভবন থেকে সাংসদরা একত্রিত হয়ে নির্বাচন কমিশনের দপ্তর পর্যন্ত যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে সেই কর্মসূচির মাঝেই প্রশ্ন উঠেছিল যে, বিরোধী জোট এই কর্মসূচি করছে, কিন্তু তারা পুলিশের কাছে অনুমতি নিয়েছে কি? তবে রবিবারই দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে কমিশনের দপ্তর পর্যন্ত যে মিছিল করার কর্মসূচি হয়েছে, তার ব্যাপারে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই এর ফলেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, আইন তো সকলের জন্যই সমান। তাহলে বিরোধী জোট ইন্ডির প্রতিনিধিরা এই কর্মসূচি করবেন, অথচ তারা অনুমতি নেবেন না কেন? যার ফলে সেই বিরোধী জোটের ভূমিকা নিয়েও এখন উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, এভাবেই বারবার আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিরা। সংসদে অচলাবস্থা তৈরি করে তারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা করে। এমনকি বাইরেও পুলিশের অনুমতি না নিয়ে তারা নির্বাচন কমিশনের দপ্তর অভিযান করার কথা ভেবেছে। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ যদি তাদের আটকে দেয়, তাহলে তারাই আবার বড় বড় কথা বলবে। কিন্তু সংসদে এসে যাদের আইন রক্ষা করার দায়িত্ব, তারাই বাইরে এভাবে আইন ভাঙছে বলেই কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এরপর যদি পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা এই কর্মসূচি করে, তাহলে পুলিশ স্বাভাবিকভাবেই তাদের আটকে দেবে। আর তখন পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলেও কোনো লাভ হবে না বিরোধী দলের সাংসদদের। কারণ তারা যদি আইন মেনে আগেভাগে অনুমতি নিতেন এবং সেক্ষেত্রে যদি পুলিশ তাদের অনুমতি না দিত, তাহলে তাদের বলার অনেক জায়গা ছিল। কিন্তু তারা অনুমতি না নিয়ে যেভাবে এই কর্মসূচি করার চিন্তাভাবনা করেছেন, তাতে পুলিশ যে তাদের বাধা দেবে, তা এক প্রকার নিশ্চিত। তাই পুলিশ বাধা দেওয়ার পর তারা যতই পুলিশের বিরুদ্ধে কথা বলুন না কেন, তাদের আইন ভঙ্গ করার যে প্রবণতা, সেই সম্পর্কে প্রকৃত চিত্র মানুষের সামনে প্রকাশ পাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।