প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এর আগেও যেদিন এসএসসি অভিযান হয়েছিল, সেদিন প্রতিবাদী চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাসকে আটক করে নিয়েছিল পুলিশ। আর আজও এসএসসি ভবন অভিযানের আগেই সেই সুমন বিশ্বাসের বাড়ির আশেপাশে পুলিশের ঘোরাফেরা নিয়ে তার ভাই প্রশ্ন তুলেছিলেন। আশঙ্কা ছিল যে, তাহলে কি আজকেও সেই সুমন বিশ্বাসকে আটক করা হবে? আর তার মাঝেই একটি ফেসবুক লাইভে দেখতে পাওয়া যায় যে, করুণাময়ী মেট্রো স্টেশনে সেই সুমন বিশ্বাসকে আটক করার চেষ্টা হচ্ছে। যদিও বা শেষ পর্যন্ত তাকে আটক করেনি পুলিশ। আর সেই ফেসবুক লাইভ দেখেই সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন জাগতে শুরু করে যে কেন প্রশাসনের এই অতি সক্রিয়তা?
বলা বাহুল্য, এদিন করুণাময়ী মেট্রো স্টেশনে পৌঁছে যান প্রতিবাদী যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাস। যেখানে এসএসসি ভবনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু সেখানেই বিধাননগর নর্থ থানার দুইজন অফিসার উপস্থিত ছিলেন। যারা তার কলার চেপে তাকে আটক করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই ফেসবুক লাইভে সেই দৃশ্য দেখতে পাওয়া গিয়েছে। আর একজন যোগ্য চাকরিহারা ব্যক্তিকে এইভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে পুলিশের এই বাধাদান বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন তুলে দেয়। আর তার মধ্যেই এবার পুলিশ যখন শেষ পর্যন্ত আটক করতে পারেনি সেই সুমন বিশ্বাসকে, ঠিক তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রীতিমত অঝোরে চোখের জল ফেলতে ফেলতে এই রাজ্যের প্রশাসন কিভাবে প্রতিবাদীদের ওপর অত্যাচার করছে, তা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উপড়ে দিলেন সেই চাকরিহারা প্রতিবাদী শিক্ষক সুমন বিশ্বাস।
এদিন মেট্রো স্টেশনের ঘটনার পরেই বাইরে বেরিয়ে আসেন সেই সুমন বিশ্বাস। যেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “পুলিশ আমাকে মেরে ফেলতে চাইছে। আমরাও সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় ছিলাম। কিন্তু এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ আমাকে মেরে ফেলতে চাইছে। আপনি কি করছেন? এটা কি পরিবর্তন হয়েছে? মেরে ফেলতে চাইছে। মাটিতে পুঁতে ফেলতে চাইছে এই রাজ্যের সরকার।” শুধু তাই নয়, পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে, আটক করতে পারে, আন্দোলন বন্ধ করে দিতে পারে, এই আশঙ্কায় তিনি অনেক আগেই বাড়ি ছেড়েছিলেন বলেও জানান সেই সুমন বিশ্বাস। নিজের দুঃখ ও বেদনার কথা বলতে বলতে এই রাজ্যের শাসকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেওয়ার পাশাপাশি অঝোরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কান্নায় ভেসে যেতেও দেখা যায় সুমনবাবুকে। স্বাভাবিকভাবেই এই রাজ্যের প্রশাসন যেভাবে প্রতিবাদীদের কণ্ঠরোধ করতে পুলিশ দিয়ে তাদের ওপর অত্যাচার করছে এবং যেভাবে এই প্রতিবাদীদের চোখের জল পড়ছে, তাতে ভবিষ্যতে সেই চোখের জল অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবে তৃণমূল সরকারের ক্ষেত্রে বলেই দাবি রাজনৈতিক সমালোচকদের।