প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা সকলেই জানে। ২০২৬ এর নির্বাচন যে অত্যন্ত কঠিন, এটা তৃণমূলের সকল স্তরের নেতৃত্বরাই বুঝতে পারছে। তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কাঁটা সরিয়ে তারা কতটা জয়লাভ করতে পারবে, তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে সংশয় রয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন বিজয়ের সম্মেলনী মঞ্চ থেকে নেতারা কর্মীদের উদ্দেশ্যে সতর্কীকরণ বার্তা দিচ্ছেন। প্রত্যেকের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে একটাই বিষয় উঠে আসছে যে, দলের মধ্যে কোনোমতেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না। আর এবার দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে সোচ্চার হলেন বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি।
প্রসঙ্গত, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তবে তার আগে তৃণমূল ঘর গোছানোর কাজ শুরু করেছে। এমনিতেই এসআইআরের আতঙ্কে তৃণমূল রীতিমত বিপর্যস্ত বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। এবার কোনোভাবেই শাসক শিবির ক্ষমতায় আসতে পারবে না, এই ব্যাপারে নিশ্চিত বিজেপি। তবে তৃণমূল তখনই প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবে, যখন তাদের নিজেদের ঘর শক্তিশালী থাকবে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন জেলা নেতৃত্ব খুব ভালো মতই জানে যে, দলের মধ্যেই রয়েছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল। তাই এবার সেই কোন্দল বন্ধ করতে বাঁকুড়ায় তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনীর মঞ্চ থেকে বার্তা দিলেন জেলা সভাপতি।
এদিন বাঁকুড়ায় তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদকে দেখিয়ে জেলা সভাপতি তারাশঙ্কর রায় বলেন, “কিছু মানুষ আছে আমাদের দলে, যারা মানুষকে দিয়ে ওনার কান ভারী করেন। আমি সেই লোকগুলোকে বলব, আপনারা দলটার ক্ষতি করছেন। এটা কিন্তু করবেন না। নোংরামিটা করবেন না। লাগান, ভাগান করে কেউ বড় হয় না।” আর জেলা সভাপতির এই বার্তার মধ্যে দিয়েই একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেল যে, তৃণমূলের কোন্দল কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।