প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতারা এখন এসআইআরের আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন। তারা খুব ভালো মতই জানেন যে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে এসআইআর হবে। আর এসআইআর হওয়ার পর নির্বাচন হলে তৃণমূল এতদিন যে অবৈধ ভোটারের সাহায্য নিয়ে ভোট বৈতরনি পার হয়েছে, সেই পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যাবে। যার ফলে তাদের ক্ষমতার টিকে থাকাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলেই দাবি করছে বিজেপি। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই তৃণমূলের নেতারা বিভিন্ন জায়গায় এসআইআরের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে গিয়ে বিজেপি নেতাদের বেঁধে রাখার নিদান দিচ্ছেন। আর কলেজ স্কোয়ার থেকে শাসক দলের নেতাদের সেই হুমকিরই পাল্টা জবাব দিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

বলা বাহুল্য, এই রাজ্যজুড়ে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই। কিছুদিন আগেই নাগরা কাটায় ত্রান বিলি করতে গিয়ে রক্তাক্ত হয়েছেন উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। যার ফলে আজ আদিবাসী সমাজ পথে নেমেছে। যেখানে বিজেপি নেতারাও কলকাতায় সেই কর্মসূচিতে শামিল হয়েছেন। আর কলেজ স্কোয়ারে সেই কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় জবাব দিলেন সুকান্ত মজুমদার। এসআইআর নিয়ে বর্তমানে তৃণমূলের নেতারা যেভাবে বিজেপিকে শায়েস্তা করার হুমকি দিচ্ছেন, তার পাল্টা হুশিয়ারি দিলেন তিনি।

এদিন কলেজ স্কোয়ারে বিজেপির কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আর সেখানেই এসআইআর নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তার পাল্টা মন্তব্য করেন তিনি। তৃণমূলের উদ্দেশ্যে সুকান্তবাবু বলেন, “আজকের তৃণমূলের নেতারা বড় বড় কথা বলছেন, এসআই আর করলে বিজেপির নেতাদের বেঁধে রাখো, বিজেপির নেতাদের মারো। আরে তোর বাবার সম্পত্তি নাকি? এই রাজ্যটা আমাদের বাবার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী তৈরি করেছিল। মমতা ব্যানার্জির পূর্বপুরুষদের কোনো ভূমিকা ছিল না। মমতা ব্যানার্জির ভাই, বন্ধুদের কোনো ভূমিকা ছিল না। ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মেঘনাদ সাহা থেকে শুরু করে যারা ছিলেন, তারা এই পশ্চিমবঙ্গ তৈরি করেছেন।”