প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সম্প্রতি দিলীপ ঘোষকে নিয়ে বঙ্গ বিজেপির মধ্যে তো বটেই, গোটা রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। একুশে জুলাইয়ের দিন তিনি চমক দেবেন বলে যে মন্তব্য করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেরই প্রশ্ন ছিল যে, তিনি বিজেপির কোনো কর্মসূচিতে যেহেতু ডাক পাচ্ছেন না, তাহলে কি এবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন? যোগ দিতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসে? আর এই সমস্ত জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে কিছুক্ষণ আগেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সল্টলেকের কার্যালয়ে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন দিলীপ ঘোষ। আর বাইরে বেরিয়ে কর্মীদের মনের মধ্যে এতদিন যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল তাকে নিয়ে, তার দলবদলের যে জল্পনা চলছিল, সেই ব্যাপারে নিজের স্ট্যান্ড ক্লিয়ার করলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।

প্রসঙ্গত, রাজ্য রাজনীতিতে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে জল্পনার মাঝে তিনি এদিন সকলকে চমকে দিয়ে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। কিছুক্ষণ আগেই সল্টলেকের বিজেপির কার্যালয়ে পৌঁছে যান দিলীপবাবু। যেখানে নয়া সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। আর তারপরেই বাইরে বেরিয়ে এসে তিনি কি বলেন, তার দিকে নজর ছিল গোটা সংবাদ মাধ্যমের। অবশেষে বাইরে বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ২৬ এ পুরোপুরি ভাবে তৃণমূলকে সাফ করে দেওয়ার হুংকার দিতে দেখা যায় দিলীপ ঘোষকে।

দিলীপ ঘোষ বলেন, “দেখুন রাজনীতিতে ধারণা তৈরি করা, এটা একটা বড় অস্ত্র। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতেও চলছে। আমার মনে হয়, বিজেপি কর্মীরা যাদের মনের মধ্যে একটু দোলাচল এসেছিল, একটা আশঙ্কার মেঘ ছিল, সেটা কেটে যাবে। তারা একসঙ্গে মিলিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তন করবে। আমরা জল্পনা-কল্পনায় বিশ্বাস করি না। বাস্তবে বিশ্বাস করি। আমি স্লোগান দিয়েছিলাম, ১৯ সালে। ১৯ এ হাফ, ২১ এ সাফ। ২১ এ সাফ হয়নি। যেটা বেঁচে গেছে, ২৬ এ সাফ। বিজেপি নিরন্তর এগোচ্ছে। নির্বাচনে ভালো ফল হয়েছে। শমীকদার প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। তিনিও বলেছেন, সবাইকে কাজ করতে হবে। এরপরে যেমন যেমন যোজনা তৈরি হবে পার্টির তরফে আদেশ হবে, আমরা সবাই আছি।”