প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
ডবল ইঞ্জিন সরকার কি করে মানুষকে সুশাসন দিতে পারে, তা উত্তরপ্রদেশের দিকে নজর দিলেই দেখতে পাওয়া যাবে। সেখানে যে কোনো অন্যায় বরদাস্ত করা হয় না, সেখানে যোগী আদিত্যনাথ সরকার যেভাবে অত্যাচারীদের ওপর বুলডোজার চালায়, তা ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ঘটনার মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই উত্তরপ্রদেশের মত সুশাসন চাইলে পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপিকে আনতে হবে বলে দাবি করছেন পদ্ম শিবিরের নেতারা। আর এসবের মধ্যেই বর্তমানে এই বাংলার বুকে বাবরের নামে মসজিদের শিলান্যাস করা হয়েছে। তৃণমূল নাটক করে তাদের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে সাসপেন্ড করলেও, তলায় তলায় যে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই এবং তৃণমূল যে ভোটব্যাংকের রাজনীতি করার জন্য তার সঙ্গে সমঝোতা করে লোক দেখানো সাসপেন্ড করেনি, এর গ্যারান্টি কোথায়? ইতিমধ্যেই এই সাসপেন্ড যে নাটক, তা স্পষ্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে মসজিদ হলে আপত্তি নেই। কিন্তু বাবরের নামে কেন মসজিদ হবে, সেই প্রশ্ন সকলেই তুলে ধরছেন। আর এবার সেই কথা তুলে ধরেই সেই মসজিদ নির্মূল করে দেওয়ার হুঙ্কার দিলেন উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য।
ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদে বাবরের নামে মসজিদের শিলান্যাস করেছেন হুমায়ুন কবীর। তবে নিজের ধর্মকে সম্মান জানাতে মসজিদ করতেই পারেন। কিন্তু কেন বাবরের নামেই হবে এই মসজিদ? যে বাবর ভারতবর্ষকে আক্রমণ করেছিল, সেই বাবুরকে কেন এতটা সম্মান দেওয়া হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে। এমনকি সংখ্যালঘুরাও অনেকে এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। আর এবার উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রীও এই ব্যাপারে বড় মন্তব্য করে বসলেন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন যে, বাবরের নামে মসজিদ হলে শুধু বিরোধিতা নয়, সেটাকে কিভাবে নির্মূল করে দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থাও করা হবে।
ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদে যে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন হুমায়ুন কবীর, তা নিয়ে নানা মহলে চর্চা চলছে। আর সেই প্রসঙ্গেই কি বড় বার্তা দিলেন উত্তর প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী? এদিন যোগী সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য বলেন, “এমনি মসজিদ নির্মাণ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। বিদেশী আক্রমণকারী বাবরের নাম না থাকলেই হলো। কিন্তু বাবরের নামে মসজিদ তৈরি করলে শুধু বিরোধীতাই করবো না। দ্রুত যাতে সেটিকে নির্মূল করে দেওয়া যায়, তা দেখে ছাড়বো।”